রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
১৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এসএম শাহজাদা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ‘আর কোন দাবি নাই, ত্রাণ চাই না বাঁধ চাই’ এর দাবির ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরবর্তিতে তা সকলের মধ্যে অলোচনার কেন্দ্রে বিন্দুতে পরিনত হয়ে প্রশংসিত হয়। গত মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দুইদিনের তাণ্ডবে পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ বিপদসীমার ৭৪ সে. মি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট পানিবৃদ্ধি পেয়ে জেলার ৫২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, নদীর তীর ভাঙন, স্থায়ী ও অস্থায়ী নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাকিম সালেহী। পটুয়াখালী জেলার-৩ সংসদীয় আসনটি গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত। পটুয়াখালীর দশমিনার ৪টি পোল্ডারে ১০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এ ছাড়া গলাচিপায় ৫টি পোল্ডারে ২০৮ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে কিছু অংশে স্থায়ী প্রতিরক্ষা হয়েছে অনেকাংশে স্থায়ী প্রতিরক্ষা নেই, শুধু বেড়িবাঁধ রয়েছে। এ বছর ঘূর্নিঝড় ইয়াসে দশমিনার পৌনে তিনকিলোমিটার এবং গলাচিপায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘূর্নিঝড় ইয়াসের পূর্বেই পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় কিছু অংশে ফাটল ধরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছিল। তাৎক্ষনিকভাবে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বিভাগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফাটল সমূহ বন্ধ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু বড় বড় নদীর পাশ্ববর্তী বাঁধগুলি পানির অতিমাত্রার উচ্চজোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে একাধিক গ্রাম তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ সকল নাজুক বাঁধগুলি আমাদের জরুরি ভিক্তিতে কাজ করা প্রয়োজন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই আমরা এগুলি বাস্তবায়ন করবো বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাকিম সালেহী। তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ভেড়িবাঁধসহ অন্যান্য অবকাঠামো জরুরি আপদকালীন মেরামতের জন্য ৩ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া স্থায়ী সমাধানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনসহ এ ব্যাপারে সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নিচ্ছেন, পাশাপাশি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, ঘূর্নিঝড় ইয়াসে পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়নের মোট ৪৬৯৩টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, প্লাবিত হয়েছে ২৩২টি গ্রাম। দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৫,৫৯,৩৬৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।