পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা চাকরি হারিয়ে এখন রিকশা-ভ্যান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, পত্রিকায় পড়েছি, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের প্রায় অর্ধলক্ষ কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ। এর একজন প্রিন্সিপাল নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে ভাড়া পরিশোধ করে গ্রামের বাজারে গিয়ে চা বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান এ রকম করেই হচ্ছে। লজ্জা করে না- এই শিক্ষামন্ত্রীর? শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এক মানববন্ধনে এমনই প্রশ্ন তুলেন তিনি।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক’র (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষকরা চাকরি হারিয়ে না খেয়ে মরেন, আর সরকার বসে বসে ডুগডুগি বাজায়! সরকারের মন্ত্রীরা বলে বেড়ায়- তারা নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, উন্নয়ন মানেই কি শুধু মগবাজার ফ্লাইওভার?
ডাকসু’র এই সাবেক ভিপি বলেন, শিক্ষকরা এখন ভ্যান গাড়ি চালায়, রিকশা চালায়, চা বিক্রি করেন-এর চেয়ে অপমানজনক ঘটনা দেশে আর কি হতে পারে! শিক্ষিত মানুষ যারা চাকরি হারিয়েছেন, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ, গ্রাম-গ্রামান্তরে অনেক মানুষ রয়েছেন এমন। বাংলাদেশে শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান এখন এ রকমভাবে হচ্ছে। পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা অনেকেই ফেসবুকে লিখছেন-কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরিরা কেবল যৌবনে পা দিয়েছে, তারা অনলাইন ক্লাসের নামে, অনলাইন কাজের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে আজ সমস্ত অশ্লীলতার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা কি রকম প্রজন্ম তৈরি করছি!
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আরও বলেন, যারা এতদিন ধরে বললেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি, এগুলো সবই ফোর-টুয়েন্টি কথাবার্তা ছিল। তার প্রমাণ-অনলাইন পরীক্ষায় কোনো গার্ড নেই। কোনো পরিদর্শক নেই। যিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি বই খুলে দেখে দেখে লিখছেন, তাকে চেক দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা বহুবার বলেছি-এই সরকার দেশের ভোট নষ্ট করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের একেক জনের নামে দেড়শ থেকে দুইশ পর্যন্ত মামলা দিয়েছে এই সরকার। এসব মামলা দিতে তাদের (সংশ্লিষ্ট পুলিশের) অনেক বুদ্ধি খাটাতে হয়। কারণ, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে এ থেকে পাওয়া পয়েন্টের ভিত্তিতেই মামলা সাজাতে হয় পুলিশকে। আমি পুলিশের দোষ দেই না। কারণ, পুলিশের সরদার তাকে যদি বলে মিথ্যা কথা না লিখলে চাকরি থাকবে না, তো সে কি করবে?
মানববন্ধনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা জানি একটি রাষ্ট্রকে যদি ধ্বংস করতে হয়, তবে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের পথ রুদ্ধ করতে হবে। তাহলে আর সেই জাতি সামনে এগোতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে, ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে। সবকিছুই চলছে। শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেটা আত্মঘাতী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।