বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুর সদরে চলছে লকডাউন বাড়ছে করোনা-১৯ সংক্রমন। গত মঙ্গলবার থেকে সদরে চলমান ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থদিনে শনাক্তের হার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে পৌচেছে। গতকাল যা ছিল ৩৬.৯৩। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু না থাকলেও ৯৩ জন নুতনভাবে আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৩৫ জন। দিনাজপুরে এ পর্যন্ত ১৪৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তবে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে করোনা’র নমুনা সংগ্রহের তুলনায় অনেক পরীক্ষা করা সম্ভব হওয়ায় শনাক্তের হার অনেক কম পরিলক্ষিত হচেছ। গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুরে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৪৭ টিকিন্তু পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ১৯৬ টি’র। অন্যান্যগুলি সংগ্রহে ক্রটিজনিত কারনে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সকল নমুনা পরীক্ষা করা হলে শনাক্তের হার আরো অনেক বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টসুত্রগুলি দাবী করেছে।
দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিসিইউ বেডের সংখ্যামাত্র ১৫ টি। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করোনা পজিটিভের ১০০ এবং উপসর্গ নিয়ে ৩৭ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে এখন বেডেরঅনেক বেশী রোগীভর্তি রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত কঠোর লকডাউন প্রজ্ঞাপনে ১৩ দফা শর্তে সকলপ্রকার দোকান, হোটেল রেষ্টুরেন্ট, গণ পরিবহন এবং সদর উপজেলায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পাশাপাশি অধিক জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষনাক রেন। কিন্ত কে মানে কার কথা। ফলে শহরে সাধারন মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছেনা। সবচেয়ে বেশী ব্যাটারীচালিত ইজিবাইকগুলি মূলত গণ পরিবহনে রজায়গা দখল করে ইজি পরিবহনে পরিণত হয়েছে। একটি ইজিবাইকে ৬ থেকে ৭ জন যাত্রী মোটরসাইকেলে ২ থেকে ৩ জন যাত্রীর চলাফেরা লকডাউনের উদ্দেশ্যকে চরমভাবে ব্যাহত করছে।
এ পর্যন্ত দিনাজপুরে ৬৮১১জনের করোনা-১৯ শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৫৭১১জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।