পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের শহরতলী এলাকায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষপ, গুলি বর্ষণ এবং ব্যাপক লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর চরকালী বাড়ি দাখিল মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- কোতায়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন, ওসি অপারেশন ওয়াজেদ আলী, পুলিশ সদস্য চাঁন মিয়াসহ কমপক্ষে আরো ১০ পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাজেদুর রহমান রুমন, যুগ্ম সম্পাদক মারুফ এলাহী, রাশেদ ইকবাল, বিভাগীয় সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক নাইমুল করিম লুইম, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমদ রবিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আলম রাজু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা, সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ রায়হান, উত্তর জেলার সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান সরকার শাওন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রনেতা রাব্বীল হাসান, জাহাঙ্গীর ও মোমেন’সহ কমপক্ষে ২০ ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত।
পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান জানান, চরকালী বাড়ী এলাকায় কোভিড নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ছাত্রদল সমাবেশ করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হযেছেন।
তবে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাজেদুল ইসলাম রুমন বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে দক্ষিণ চরকালিবাড়ি এলাকার একটি মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। মহানগরে বাইরে অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে সভায় হামলা করে পন্ড করে দেয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন।
এ বিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, সরকারের পেটুয়া বাহিনী যতই নিপিড়ন নির্যাতন করুক না কেন ছাত্র-জনতার নেতেৃত্বেই এই ফ্যসিস্ট সরকারের পতন ঘটবেই ইনশাল্লাহ।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার। এ সময় প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।