পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করে ৫৫ হাজার মানুষকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ মিলেছে। যাদের বিরাট অংশই রোহিঙ্গা। আর অবৈধ এ কাজে জড়িত ছিলেন নির্বাচন কমিশনেরই কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে দু’টি মামলা করেছে।
একটি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) শরীফ উদ্দিন। অন্যদিকে এক রোহিঙ্গা দম্পতিকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় আলাদা আরেকটি মামলা করেছেন একই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। দুই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএডি শরীফ উদ্দিনের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ইসি সচিবালয়ের পরিচালক খোরশেদ আলম, রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া ও টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুক।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদি শরীফ উদ্দিন বলেন, আমরা নির্বাচন কার্যালয় থেকে কয়েকটি ল্যাপটপ পেয়েছি। যেগুলোর আইডি নম্বর একাধিকবার পরিবর্তন করা। এ অবস্থায় কোন ল্যাপটপটি হারিয়ে গিয়েছিল, সেটা বের করার জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন। তবে আমরা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি যে, ওই ল্যাপটপসহ আরও কয়েকটি ব্যবহার করে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বাঙালি ছাড়া প্রায় সবাই রোহিঙ্গা। আরও রোহিঙ্গা অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কি না- সেটার জন্য বিস্তারিত অনুসন্ধান প্রয়োজন।
এদিকে রোহিঙ্গা দম্পতিকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মামলায় আসামি করা হয়েছে সাতজনকে। তারা হলেন- নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ও নূর আহম্মদ, সাবেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নঈম উদ্দিন, ওবাইদুল্লাহ, শামসুর রহমান, ফয়াজ উলাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।