রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বরইকরণ গ্রামের বারইবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী বহিরাগত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পান্নু হাওলাদার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনের নামে নলছিটি থানায় মামলা করেন।
আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম আখতারুজ্জামান বাচ্চু অভিযোগ করেন, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের পক্ষে চট্টগ্রাম থেকে আসা বহিরাগত সন্ত্রাসী টিটু খানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি অস্ত্রধারী দল বারইকরণ গ্রামে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় কার্যালয়ের সামনে রাখা ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মিরাজ হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সে লক্ষ্মীপুর জেলার চরকালকিনী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামসুল আলমের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে এসেছেন বলেও পুলিশকে জানায়।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলম বলেন, আমার কোন বহিরাগত লোকজন প্রচারণায় নামেনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা। কারা নির্বাচনী কার্যালয়ে ভেঙেছে, তা আমার জানা নেই।
নলছিটি থানার ওসি মাহামুদ প্রিন্স বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। একজনকে গ্রেফতার হয়েছে। সে ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। এ ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।