Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় ৩৫ দিনের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১১৮ জনের। মৃত ৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও ১৫ জন নারী। এর আগে গত ৯ মে দেশে করোনায় মারা যান ৫৬ জন। তারপর আর প্রতিদিনই মৃত্যু এর নীচে ছিল। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জনে।

গতকাল রোবাবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ১১২টি। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যের হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৮জন, রংপুর বিভাগে ৪জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ২জন, সিলেট বিভাগে ২জন ও বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন ও বাড়িতে ২জন রয়েছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ১৩২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৪ হাজার ৬১৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। এখন সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ