রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জমি দখল বেদখলের ঘটনায় পটিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩ মাসে ২ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১০ মার্চ উপজেলার কুসুমপুরা পান্ডাপাড়া এলাকায় চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা আবুল কালাম প্রাণ হারায়। গত ১৮ মার্চ বরলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলা মিয়াকে ভূমি বিরোধের জের ধরে কুপিয়ে পাঁচটি আঙ্গুল কেটে ফেলে। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। বর্তমানে তার হাত অকেজো হয়ে পড়েছে। গত ৩ এপ্রিল জিরি ইউনিয়নের মালিয়ারা গ্রামে প্রতিবন্ধী নিলু আকতারের পোল্ট্রি ফার্ম নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষরা নিলুর মা মনোয়ারা বেগম (৬০) কে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করায় বর্তমানে সে মৃত্যুশয্যায়। গত ৩০ এপ্রিল উপজেলার সাইদার গ্রামে চুন্ন হাজীর বাড়িতে চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধে নেজাম উদ্দীন মধু নামের এক ব্যক্তির হাতের কবজি কেটে ফেলে। এতে পিতা আবদুস শুক্কুর ও মা রেজিয়া বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। বর্তমানে নেজাম উদ্দীন মধুর হাত পঙ্গু হয়ে গেছে। ১৬ মে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে গোরনখাইন গ্রামের আবদুস ছবুরের পুত্র এরশাদ (২৮)কে সন্ত্রসীরা ফকিরা মসজিদ এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে। ২৬ মে পটিয়া দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে তার ৪টি আঙ্গুল কেটে ফেলে। তার বাম হাত পঙ্গু অবস্থায় আছে। গত ৫ জুন উপজেলার জিরি সাইদার গ্রামে ৩০ এপ্রিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আবুল হাশেমের বসতঘর ভাঙচুর করে। গত ১৩ মার্চ উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই বদলা পাড়া গ্রামে রেনু বেগম নামের এক মহিলার ভিটে বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যের তাকে কুপিয়ে একটি হাত পঙ্গু করে দেয়। গত ২০ মার্চ উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের জসিম ও আবদুল আলিম নামের দুইজনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে সংঘর্ষে জসিমের মাকে হামলা চালিয়ে জসিমের মায়ের হাত ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।
এ সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে যে কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়ে থাকলেও থানার সংশ্লিষ্ট অফিসার দুই পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিরোধের সঠিক নিস্পত্তি না করার কারণে এক সময় তা সংঘর্ষে রূপ নেয় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এ সমস্ত ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ আসামি ধরার ব্যাপারে উদাসিন। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার, তাই আমরা এর কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যাপারে ভবিষ্যতে সিরিয়াসলি দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।