Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাড়াশে টেলিফোন বিলে গ্রাহক বিড়ম্বনা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা আর উদাসীনতার ফলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিল বিরম্বনায় পড়েছেন বিটিসিএল’র গ্রাহক। তাড়াশ টেলিফোন অফিস সূত্রে জানা যায় গেছে, শুরুর দিকে উপজেলায় সরকারি বেসরকারি মিলে ১শ’ ৭৫টি সংযোগ ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ঠ কর্মর্কতা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা আর উদাসীনতার ফলে বর্তমানে সংযোগ মাত্র ৪০টিতে নেমে এসেছে। যেখানে সরকারি ৩৮ আর বেসরকারি মাত্র ২টি। বর্তমানে চালু সংযোগগুলোর গ্রাহকরাও কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত। গ্রাহকদের অভিযোগ, মাসের বেশিরভাগ সময় সংযোগ বন্ধ থাকে। সংযোগ চালু থাকলেও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে কথা বলতে সমস্যা হয়।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, তাড়াশ টেলিফোন অফিস মাসের সিংহভাগ সময় বন্ধ থাকে। কোনো সমস্যা নিয়ে অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওয়া যায় না। নিয়মিত বিলের কাগজ পাওয়া যায় না। ৪ থেকে ৫ মাস পর পর বিলের কাগজ সরবরাহ করা হয়। ফলে সংশ্লিষ্ঠ গ্রাহকদের বিল পরিশোধে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। বিশেষ করে সরকারি অফিসগুলো নিয়মিত বিলের কাগজ না পাওয়ায় বিল পরিশোধে তাদের অফিসে সমস্যার অন্ত থাকে না। এক মাসের বিলের কাগজ আরেক মাসে সরবরাহের কারণে অনেক সময় সংশ্লিষ্ঠ অফিসের কর্মচারীদের নিজ থেকে বিল পরিশোধ করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান, গত অর্থ বছরে সময়মতো বিলের কাগজ না দেয়ায় কয়েক মাসের বিল নিজ থেকে পরিশোধ করতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ বছরেও ফেব্রয়ারি থেকে জুন মাস পযর্ন্ত ৫ মাসের বিলের কাগজ এখনো পাইনি। যদি জুন মাসের মধ্যে বিলের কাগজ না পাওয়া যায় তাহলে অর্থ বছর শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে এবারো নিজ থেকে ওই বিল পরিশোধ করতে হবে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সিরাজগঞ্জ বিটিসিএল টেলিফোন রাজস্ব অফিস থেকে বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য একটি নোটিশ ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে ইস্যু করা হয়। নোটিশটি হাতে পেয়েছি জুন মাসের ৯ তারিখে।
সিরাজগঞ্জ থেকে তাড়াশে ওই নোটিশ আসতে সময় লেগেছে ৪ মাস। সিরাজগঞ্জ টেলিকম অফিসের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা বিল পেনড্রাইপে ঢাকায় পাঠাই। ঢাকা থেকে বিল আসতে দেরী হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ