রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এখন চলছে আমের ভরা মৌসুম। পিরোজপুরেও আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গত বছর আম পাড়ার আগ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় আম্পনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় জেলার প্রায় সব বাগান। আম নষ্ট হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন চাষি ও বাগান মালিকরা। চলতি মৌসুমে তীব্র দাবদাহ ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার পিরোজপুরের আম আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তবে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব না পড়ায় গাছের ফল গাছেই রয়েছে। এতেই খুশি চাষি ও বাগান মালিকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের প্রতি সাত উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এ অঞ্চলে একযুগ ধরে বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষ হচ্ছে। এ বছর ৬০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হয়েছে। আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আম পালি বারি-৪, হিমসাগর, রেঙুন, হাঁড়িভাঙা, গুরমতি ও ল্যাংড়া জাতের আমও চাষ হয়েছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে। পালি জাতের আম পাকার সময় হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই গাছ থেকে আম পেড়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করবেন চাষিরা। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমের পাইকাররা চলে এসেছেন বাগানে।
বাগান মালিক তরুণ কান্তি ও স্বপন মন্ডল জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। তবে আমের বাজার মন্দা হলে লোকসানও গুনতে হতে পারে। এদিকে, লাভজনক হওয়ায় আম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন গ্রামের বেকার যুবকরা। তাদের অনেকেই আম চাষ শুরু করেছেন।
সোহেল সেখ নামের এক যুবক বলেন, বাড়ি বেকার সময় কাটছে। কী করবো তার নির্দিষ্ট করে ঠিক করতে পারছিলাম না। কয়েক বছর ধরে জেলা আমের ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। তাই আমিও এ বছর আম গাছের চারা রোপণ করবো। মামুন হাওলাদার নামে আরেক যুবক বলেন, আমার দুই বিঘা জমি আছে। ওই জমি আম বাগানের জন্য জন্য প্রস্তুত করছি।
পিরোজপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকলে চাষিরা লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন, জেলায় আম চাষের সঙ্গে দুই থেকে আড়াই হাজার কৃষক জড়িত আছে। ফলন বাড়াতে তাদের প্রতিনিয়তই পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।