Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:৪০ পিএম

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজারে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আ.লীগ নেতা বাদল অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।

মামলায় আসামী ১৬৩জন স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। তারা সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

শনিবার দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা নং-১৩। তবে মামলার কোনো আসামীকে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রোববার সকাল ১১টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) ফেরদৌসী বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, গতকাল শনিবার সকালে আ.লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলার জেরে তার অনুসারীরা উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট টু পেশকার সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে এ ঘটনায় আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে (৬৬) প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং নিরাপরাধ কোন মানুষ যেন মামলায় হয়রানি না হয় সে বিষয়েও সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থক ও অনুসারীরা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশও তাদেরকে শটগানের ছররা গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বাদল অনুসারী ৪জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আ’লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রহনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল,ডাকাত মাসুদ,খান,শিহাব,সজল,আরিফ,ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়,পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুত্বর জখম করে। তবে এ বিষয়ে কাদের মির্জার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে দাবি করেন বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ