পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। এমন সিদ্ধান্তের পর ইতোমধ্যেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। তবে উল্টো অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের। কলেজগুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০-২৫ হাজার। এখন পর্যন্ত এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় আনতে কোনো তথ্য সংগ্রহ, পরিকল্পনা গ্রহণ বা পদক্ষেপ নেয়নি সাত কলেজ প্রশাসন।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সরকারি এই ৭টি কলেজের মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে আবাসিক হল রয়েছে। সব মিলিয়ে এই কলেজগুলোর বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী হলে থাকেন। এখন এসব আবাসিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের টিকা প্রাপ্তির বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ইউজিসি দেখবে নাকি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখবে সেটি নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঢাকা কলেজের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী জুয়েল মৃধা বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল খুলে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমাদের বন্ধুরাও তাদের তথ্য ইতোমধ্যেই জমা দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এরকম কোনো নির্দেশনা বা পরিকল্পনার কথা জানতে পারিনি।
ইডেন মহিলা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া মীম বলেন, খুব দ্রুতই আমাদের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সুতরাং, উচিত ছিল এতদিনে আমাদের তথ্য সংগ্রহ করা এবং অন্তত যারা আবাসিক হলে শিক্ষার্থী রয়েছে এবং সশরীরে পরীক্ষায় বসছে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের টিকার আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকা সংক্রান্ত কোনো কিছুই আমরা শুনিনি।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের অথবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানান ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহের কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে যেকোনো সময় তথ্য সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
ঢাবি অধিভুক্ত ৭ সরকারি কলেজের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলেও এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। সামনে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের মিটিং রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে মিটিংয়ে আলোচনা করব। আমাদের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রাপ্তির ব্যাপারে কোনো ধোঁয়াশা নয় বরং প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এটি নিশ্চিত করব।
টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পর স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা কবে টিকা পাবে সেই সিদ্ধান্ত সরকারের। যে যে প্রতিষ্ঠানের কাছে চাইবে তারাই শিক্ষার্থীদের তালিকা দেবে সরকারকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।