পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপটি অব্যাহত রয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। লঘুচাপের সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ সংলগ্ন উপকূলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার থেকে বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর আরও সক্রিয় হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরালো অবস্থায় বিরাজ করছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বেড়ে গিয়ে আকস্মিক বন্যার শঙ্কার কথা জানায় বাপাউবো। তাছাড়া আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়ধসের।
মৌসুমী বায়ু বিস্তার এবং সক্রিয় হওয়ার সাথেই গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের প্রায় সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি বর্ষণ হয়েছে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৭৫ মিলিমিটার। ঢাকায় ১৪, ফরিদপুরে ৩৭, দিনাজপুরে ৩৬, কুড়িগ্রামে ৪৫, যশোরে ৩৯, ভোলায় ৫০ মিলিমিটারসহ অনেক স্থানে মাঝারি বর্ষণ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগে স্বল্প বৃষ্টি ঝরেছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে, ঢাকা বিভাগের অনেক স্থানে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকারই সম্ভাবনা। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩.৮ ও সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে।
নদ-নদী প্রায় স্থিতিশীল : পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে গতকাল জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য-উপাত্ত-পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা এবং এর সংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে এ সময়ে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা সংঘটিত হতে পারে।
গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দেশের নদ-নদীসমূহের উজানে উল্লেখযোগ্য অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ১১১ মিলিমিটার, আইজলে ৬৯ মিলিমিটার। অন্যদিকে এ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয় টেকনাফে ৭২, কুড়িগ্রাম ও ছাতকে ৪০ মিলিমিটার।
পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। যমুনা নদের পানির সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির স্থিতিশীল আছে। পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে।
গতকাল প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৫৭টিতে পানি বৃদ্ধি ও ৪২টিতে হ্রাস, একটি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। শুক্রবারও ৫৭টিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ৩৭টিতে হ্রাস ও ৬টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।