Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

পনেরো বছর ধরে পরিত্যক্ত সরকারি সম্পদ শত চেষ্টা করেও লিজ নিতে পারছে না ব্যবসায়ীরা

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুমিল্লার চান্দিনায় অযত্ন অবহেলায় সরকারি ভূমি পরিত্যক্ত ভাবে পড়ে আছে। জীবিকা নির্বাহের আশায় অসহায় কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বছরের পর বছর উপজেলা প্রশাসনের নিকট ধরনা দিয়েও কোন একসনা লিজ বন্দোবস্ত আনতে পারছে না। এতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চান্দিনা উপজেলার চান্দিনা পূর্ব বাজারে (পুরাতন গরু বাজার) ৬৮.৬৮ শতাংশ জায়গা অযত্ন অবহেলায় সরকারি ভূমি দীর্ঘদিন খালি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় প্রায় ২৫ জন ক্ষুদ্র অসহায় ব্যবসায়ী ২০০৭ সাল থেকে একসনা লিজ বন্দোবস্তের জন্য সকল সরকারী নিয়ম কানুন মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও অদ্যবধি কোন সূরাহ হয়নি। অথচ উক্ত জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে উক্ত স্থানে বাজারের সকল ময়লা অবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। অপর দিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সামসুল হক পাটওয়ারী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তিনিসহ ২৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ১৫ বছর ধরে চিঠি চালাচালি করে অবশেষে মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ পেয়েও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে একসনা মেয়াদে বন্দোবস্ত দেয়নি উপজেলা ভূমি অফিস। পেরিফেরির নামে নানা টালবাহানা করছে উপজেলা ভূমি অফিস। অবশেষে সদ্য বিদায়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাঈমা ইসলাম বদলীর পর জানা গেল খতিয়ানে উল্লেখ করা ৬৮.৬৮ শতক ভিটি বাজারকে তোহা বাজারে রুপান্তর করা হয়েছে। সামসুল হক পাটওয়ারী আরও জানান, চান্দিনা পূর্ব বাজারে (পুরাতন গরু বাজার) ৬৮.৬৮ শতাংশ সরকারি ভূমি পরিত্যক্ত ভাবে পড়ে রয়েছে। আমরা একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য অসহায় কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পনের বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। অবশেষে না পেয়ে হতাশায় পড়েছি আমরা। মোট ২৫ জন ক্ষুদ্র অসহায় ব্যবসায়ীসহ ২০০৭ সাল থেকে চান্দিনা পূর্ব বাজারে পরিত্যক্ত ভূমি একসনা বন্দোবস্তের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। বন্দোবস্ত না পেয়ে একদিকে আমাদের জীবিকা নির্বাহ বঞ্চিত হয়েছে অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তিনি আরো জানান, পুরাতন গরু বাজারটি সাধারণ হত দরিদ্র ব্যবসায়ীর মাঝে লিজ দেয়ার জন্য ৩০ ও ৩১ ধারায় শ্রেণি পরিবর্তন করে ভিটি বাজার হিসাবে রেকর্ড করে ভূমি অফিস (বিএস খতিয়ান নং-৬৪৮/৮১৭) । আমরা ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় লিজ নেয়ার জন্য বার বার পৃথক পৃথক ভাবে অদ্যবধি সহকারি কমিশনার (ভূমি) চান্দিনা বরাবর আবেদন করে আসছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসলেও আমাদেরকে লিজ না দিয়ে ভিটি বাজারকে তোহা বাজার রুপান্তর করে উপজেলা ভূমি অফিস। এতে আমরা বিভিন্ন মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছি। এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া খানম বলেন, আমি চান্দিনাতে মাত্র যোগদান করলাম। তবে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ