পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কাফরুল থানাধীন এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-৪-এর একটি দল মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতা এসএসআই গ্রুপ এর অফিস (৩য় তলায়) অভিযান পরিচালনা করে এদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- প্রতারক চক্রের অন্যতম মূল হোতা শেখ হাবিবুর রহমান ওরফে এসকে হাবিব (৫৮), খলিলুর রহমান (৬২) ও আবু সাইদ (৫২)। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের বিত্তিতে এ প্রতারক চক্রকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত শেখ হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের উচ্ছ পদস্থ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে সুকৌশলে প্রতারনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদেরও নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার করে আসছে। মূলত এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা শেখ হাবিবুর রহমান এসএসআই কর্পোরেশন নামে একটি সংস্থা খুলে চাকুরী দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধারসহ যে কোন কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের নিকট হতে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে। শেখ হাবিব সরকারের উচু মহলের আত্মীয় পরিচয়ে সম্প্রতি পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে তদবীর করেন। শেখ হাবিবের দ্বারা প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী রয়েছে যারা এ ধরনের প্রতারনার শিকার হয়েছে। এসকে হাবিবের ছেলে শেখ ইমরানও পিতার ন্যায় প্রতারনার কাজে জড়িত। এদিকে শেখ হাবিবের পুত্রবধু ও শেখ ইমরানের স্ত্রী শারমিন আক্তার এক সময় গণভবনে কর্মরত ছিলেন। শেখ ইমরানের সাথে তার বিবাহের পর স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দেয় এবং স্বামী ইমরান ও শ্বশুর শেখ হাবিবের সাথে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণার সঙ্গে শারমিনও জড়িয়ে যায়।
গ্রেফতারের সময় এদের কাছ থেকে ১ টি ল্যাপটপ, ১ টি সিপিইউ, নগদ এক লাখ টাকা, ৫ টি মোবাইল, ১৯৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, প্রতারণার মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১০ টি চেক, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ২৫ টি, জন্ম সনদের ফটোকপি ১০ টি, সিভি০১ টি, চুক্তি নামা ৩ সেট, দলিলের ফটোকপি ৩ সেট, বিভিন্ন প্রকারের ভিজিটিং কার্ড ২৫০ টি, ডিজিটাল সীল ২ টি, ছবি ৫ টি, পাশবই ৮ টি, ডাইরী ৩ টি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।