রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় ভাঙ্গার চরকান্দা অঞ্চলে চাঞ্চল্যকর সেকেন্দার মোল্যা হত্যা মামলার প্রকৃত আসামিরা ধরা পড়ায় বিচার দাবিতে এলাকাবাসী এক মানববন্ধন ও জনসমাবেশের আয়োজন করে। গত ২৬ অক্টোবর ২০২০ ভাংগার শাহমল্লিকদী চরকান্দা গ্রামের অদূরে রাগদার বিলে এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে জানা যায় উক্ত ব্যক্তি চরকান্দা গ্রামের সেকেন্দার মোল্যা (৫০)। গত ২৭/১০/২০২০ তারিখে মৃত সেকেন্দার মোল্যার স্ত্রী হাফিজা বেগম বাদী হয়ে সেকেন্দার মোল্যার ভাই খোকন মোল্যা, কবির মোল্যা ও খলিল মোল্যাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে ভাংগা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জমি ও রেল অধিগ্রহনের ক্ষতি পূরনের টাকা নিয়ে এদের সাথে সেকেন্দার মোল্যার বিরোধ ছিলো। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব পান ভাংগা থানার তরুন চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ করে জানতে পারেন ঐ গ্রামেরই জনৈক আতিয়ার রহমান ভুলু মোল্যা নামে এক ব্যক্তি মামলাটি প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই সূত্র ধরে তিনি মামলাটি গভীরভাবে পর্যালোচনা ও তদন্ত করার এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের সহিত আসামি আতিয়ার রহমান ভুলু মোল্যা তার পুত্র সম্রাট মোল্যা ও বাদিনী হাফিজা বেগমের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান। অতঃপর তাদের গ্রেফতার করা হলে সেকেন্দার মোল্যার পুত্র হোসেন মোল্যার সংশ্লিষ্টতার প্রমান পান। পরে যথাক্রমে গত ০৯/০৬/২০২১ ও ১০/০৬/২০২১ তারিখে সকল আসামিগণই ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সেকেন্দার মোল্যার হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। হাফিজা বেগমের সাথে ভুলু মোল্যার পরকীয়ার জের ধরে ভুলু মোল্যার প্রতিপক্ষ খোকন মোল্যা গংকে ফাঁসানোর জন্যই এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান। গত ১১/০৬/২০২১ইং তারিখে ভাংগা থানা কর্তৃপক্ষ এ হত্যাকান্ডের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে একটি প্রেস রিলিজ অবমুক্ত করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় উক্ত ভুলু মোল্যা দীর্ঘদিন তার ভাগ্নে ও পাশ্ববর্তী শারশাকান্দী গ্রামের কতিপয় ভূমি দস্যুকে সাথে নিয়ে নিরিহ মানুষের জমি জাল ও ভুয়া দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার গ্রেফতারে এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।