পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনামুক্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পুরনো কিছু রোগের জটিলতায় ভুগছেন।
এসব জটিলতায় বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
এর মধ্যে হার্ট ও কিডনির যে সমস্যা তার উন্নত চিকিৎসা বাংলাদেশের কোন হাসপাতালে সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তার।
শুক্রবার (১১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে পোস্ট কোভিডের তার থেকে উনি মোটামুটি বেটার।
ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যে সমস্যা্গুলো উদ্বেগজনক। একটা হচ্ছে তার হার্টের প্রবলেম তার একুয়েট আছে, কিডনির প্রবলেম একুয়েট আছে। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন।
উনার মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, এডভান্স সেন্টারগুলো আছে –সেগুলো যথেষ্ট নয় উনার টিট্রমেন্টের জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার (খালেদা জিয়া) এডভান্স টিট্রমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরী। আমরা সেটা বার বার বলছি।
খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে্ছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় যেসমস্তগুলো আইন করেছে তা আদালত করেছে।
আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না।
ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের এতো কত যে, আমাদেরকে ধীরে সুস্থে চিন্তা-ভাবনা করে আদালতে যাবো।
এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালকুদার, কায়সার কামাল প্রমূখ।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়। ২৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি প্রধান।
হাসপাতালে হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল নিয়ে স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারন করা হয়।
সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাৎ’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।