পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০ আসামির জামিন করানোর সঙ্গে বিচারিক আদালতের দুই আইনজীবীসহ চার জন জড়িত। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই আইনজীবীসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত বুধবার দেয়া আদেশের তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি।
বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় ভুয়া ‘আগাম জামিন আদেশ’ তৈরিতে ৪ ব্যক্তির যোগ-সাজশ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জড়িতরা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের এডভোকেট তানজীম আল-মিসবাহ, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মো. সোহাগ। এর মধ্যে কারাগারে থাকা সোহাগ ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হাইকোর্টে সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপিত হয়। প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট জড়িত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ জুন হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা নজরে এলে হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রæয়ারি এক আদেশে বগুড়া যুবলীগের সহ-সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। আদেশ বাস্তবায়ন করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলেন আদালত।
প্রসঙ্গতঃ গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি ৩টি মামলা হয়। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রæয়ারি বগুড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেয়ার একটি জাল আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।
আদেশনামায় দেখানো হয়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিন দেয়া হয়েছে। এ জামিন শেষে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। এই ভুয়া আদেশের তথ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয়। পরে এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আরজি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেফতারে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।