পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ বছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পদ্মা যমুনার নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এছাড়া শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এখন থেকে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে আরিচা ঘাট সংলগ্ন দক্ষিণ শিবালয়, ছোট আনুলিয়া ও অন্বয়পুরের তিনটি গ্রাম।
জানা যায়, শিবালয় উপজেলার দক্ষিণ শিবালয়, ছোট আনুলিয়া ও অন্বয়পুর গ্রামের নদী পাড়ের ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি গত বর্ষা থেকেই নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে। এ বছর পদ্মা যমুনার ভাঙনের প্রভাবে বিগত কয়েক দিনে এ তিনটি গ্রামের বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এ তিনটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। ফলে গ্রামবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নদী ভাঙন রোধে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
দক্ষিণ শিবালয় গ্রামের মো. মানিক মিয়া ও অন্বয়পুর গ্রামের আক্তার হোসেন জানান, নদীর মাঝে চরপড়ার কারণে পানির স্রোত পাড় এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে বর্ষা আসার আগেই আমাদের গ্রামটিতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এছাড়া অনেকের বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ বছর বর্ষা শুরু হবার আগেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে এ তিনটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় ৭৫ বয়সি সুনিল হলদার জানান, এ বয়সে অনেক ভাঙন দেখেছি। কিন্তু এবার যে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে আমরা হতাশায় পড়ে গেছি। ইতোমধ্যে অনেক আবাদি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিগত ৫০ বছরেও এ রকম নদী ভাঙন আমরা দেখিনি। স্থানীয় সন্ধ্যা রানী হালদার জানান, নদী ভাঙনের কারণে আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, শিবালয়ের নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এমপি আমাকে তাগিদ দিয়েছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।