পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাছের সাথেই আমার বেড়ে ওঠা। জন্মের পর যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখেছি বাবা নার্সারির ব্যবসা করেন। ছোট বেলাতেই নার্সারিতে গাছের চারার প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্মে। সত্যি কথা বলতে গেলে চারা গাছের ব্যবসা পরিবার থেকেই পেয়েছি।
কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইগাতীর সবচেয়ে বড় ’মুক্তা নার্সারীর’ মালিক মো. মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন, নার্সারি যেমন লাভজনক ব্যবসা তেমনি সেবামূলক। এ ব্যবসা মনে প্রশান্তির পাশাপাশি জীবন চলার পথ অর্থাৎ আয় রোজগার অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও খাঁ পাড়ার মেইলগেট এলাকায় ৫ একর জমিতে জেলার সবচেয়ে বড় নার্সারি মুক্তার হোসেনের। এ যেন নার্সারি নয়, গাছের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় বিভিন্ন প্রজাতির শুধুই চারা গাছ।
মুক্তার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তার নার্সারিতে বর্তমানে হাজারো প্রজাতির সাত লাখ চারা গাছ রয়েছে। দেশি-বিদেশি সব ধরনের চারা রয়েছে নার্সারিতে। আছে বনজ, ফলদ, ওষুধি ও ফুলের চারাসহ প্রকৃতিবান্ধব সব ধরনের চারা গাছ। চারা গাছের চাহিদাও প্রচুর। বিক্রি হয় ভালোই।
তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর চারা গাছের ব্যবসা শুরু করেন। শৈশবকাল থেকে চারা গাছের সাথেই বেড়ে ওঠা তাই অন্য কোনো ব্যবসায় মন বসেনি। কয়েক বছর আগে বিদেশ গিয়েও থাকতে পারেননি চারা গাছের টানে।
গাছের প্রতি গভীর প্রেম-ভালবাসার টানে মুক্তার হোসেন বিদেশ থেকে ফিরেই নার্সারি ব্যবসায় হাত দেন। বিদেশে যাওয়ার আগে ব্যবসায় লোকসান হলেও নতুন করে শুরু করার পর এখন লাভের মুখ দেখছেন। নার্সারি থেকেই বছরে আয় হচ্ছে কমপক্ষে ১২ লাখ টাকা।
মুক্তার জানান, রাজশাহী থেকে গাছের বিজ নিয়ে আনেন। চারা বড় হওয়ার পর চাহিদা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারা দেশে পাঠানো হয়। বর্তমানে নার্সারিতে ৫০ জনের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। ছাবের আলী নামে এক শ্রমিক বলেন, নার্সারিতে কাজ পাওয়ার পর পরিবারে সুদিন ফিরেছে। নার্সারি বাড়ির পাশে হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে।
চারা গাছ কিনতে আসা মঈনুদ্দিন বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় নার্সারি এটি। বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা গাছ কিনলেও শেরপুর জেলায় এটিই সবচেয়ে বড় নার্সারি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ দৈনিক ইনকিলাকে বলেন, এ নার্সারি ঝিনাইগাতীবাসীর জন্য গর্বই বলতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের চারা রোপণ করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।