পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৌসুমী বায়ু ক্রমেই বিস্তার লাভ এবং সক্রিয় হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘ ও জলীয়বাষ্প বাংলাদেশের দিকে আসছে প্রচুর। বর্ষার মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের অনেক জেলায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কক্সবাজারে ৭১ মিলিমিটার। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহীতে দুয়েক জায়গায় স্বল্প বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৭ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হলে সেই সাথে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া স্যাটেলাইটের পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার বা রোববার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও তা ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপান্তর ঘটতে পারে। যদি এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরের ধাপে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে ‘গুলাব’ বা ‘গোলাপ ফুল’। যা পাকিস্তানের দেয়া নাম। সম্ভাব্য নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সাথে মৌসুমী বায়ু জোরদার হয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও আশপাশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগর হয়ে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগজুড়ে এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলে মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুক‚লে রয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের পূর্বাঞ্চলের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আজ চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে।
নদ-নদীর প্রবাহ পরিস্থিতি
বাপাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৬২টিতে পানি বৃদ্ধি ও ৩৭টিতে হ্রাস পায়। একটি স্থানে পানির প্রবাহ অপরিবর্তিত রয়েছে। আগেরদিন বুধবার ৫৬টিতে পানি বৃদ্ধি ও ৪০টিতে হ্রাস, ৪টিতে অপরিবর্তিত থাকে।
পাউবো পূর্বাভাসে জানায়, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গতকাল বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।