Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ছাতক-দোয়ারা-সুনামগঞ্জ ও মোহনগঞ্জে রেলপথ স্থাপনের দাবী

মন্ত্রীর কাছে পাঁচ এমপির চিঠি

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ৪:১০ পিএম

ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের দাবী জানিয়ে এবং এটির যৌত্তিকতা তোলে ধরে রেলপথ মন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ, ড. জয়া সেন গুপ্তা, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও শামীমা আক্তার খানম স্বাক্ষরিত চিঠিটি সোমবার (৭জুন) রেলপথ মন্ত্রীর কাছে দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৫৪ সালে সিলেট থেকে শিল্পনগরী ছাতক পর্যন্ত রেলপথ স্থাপিত হয়। স্বাধিনতার পরবর্তী সময়ে ছাতক রেলপথের সাথে জেলা সদর সুনামগঞ্জকে যুক্ত করার দাবী উঠে। কিন্তু কোন সরকার ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ সদরের এই তিন উপজেলার মানুষের দাবীর প্রতি কর্ণপাত করেনি। ২০১১ সালে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত রেলপথ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর দাবীটি জোরালো হয়ে উঠে। ২০১২ সালে ছাতক শহরে তাকে দেয়া হয় গণ সংবর্ধনা। দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি ওই সংবর্ধনায় ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কয়েক দফা এলাকাটি সরজমিন পরিদর্শন করেন এবং সমিক্ষা চালান। তাদের সমিক্ষা মতো ছাতক-সুনামগঞ্জ রেললাইন স্থাপনের জন্য অ্যালাইনমেন্ট তৈরি করা হয়। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের মৃত্যু হলে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ রেলপথটি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পূর্ণব্যক্ত করেন এবং বহুবার বিভিন্ন জনসভায় ছাতক-সুনামগঞ্জ রেলপথ স্থাপনে তার আন্তরিক প্রয়াসের কথা জানান। এ অবস্থায় তিন উপজেলার মানুষ যখন রেলপথটি বাস্তবায়নের জন্য প্রহর গুনছে ঠিক সে সময় ছাতক-সুনামগঞ্জ রেল লাইনের পরিবর্তে অন্য একটি অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী রেলপথটি বাস্তবায়নের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। এমন সংবাদে এলাকাবাসীর সাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও বিষ্মিত ও হতবাক হচ্ছেন। ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীকে আমলে নিয়ে ছাতক সদর-দোয়ারা বাজার-সুনামগঞ্জ সদর এ অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী রেলপথটি বাস্তবায়নের জোর দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, ছাতক-সুনামগঞ্জ অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। পতিমধ্যে দুই একটি ছোট খাল ছাড়া কোন নদী নেই। রেল লাইনটি সুরমা নদী থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দূরে, দেখার হাওরের উত্তর পাড় দিয়ে নির্মিত হবে। এতে হাওরের জীব বৈচিত্র বিনষ্ট হওয়া বা সুরমা নদীর ভাঙ্গনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থের সম্ভাবনা নেই। এতে ব্যয় তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হবে এবং বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে। এছাড়া সরকার ছাতকে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়িত হলে ছাতকের সাথে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সহজ ও স্বল্প ব্যয়ি একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ছাতক রেল স্টেশন থেকে দোয়ারা বাজার হয়ে সুনামগঞ্জ সদর এ অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী রেলপথটি স্থাপন হওয়া অধিকতর সাশ্রয়ী, বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক। রেলপথটি ছাতক সদর-দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সদর হয়ে ক্রমান্বয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত স্থাপনের পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঁচ সংসদ সদস্যের চিঠিতে রেলপথ মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ