Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

টাঙ্গাইলে গ্রাহক পয্যায়ে তিতাসের ১২ কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ১:২০ পিএম

টাঙ্গাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গ্রাহকদের কাছে ১২ কোটি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি অফিসে ৪ কোটি এবং আবাসিক ও সিএনজি স্টেশন পর্যায়ে ৮ কোটি টাকা। দেশে আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ের গ্রাহকদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলায় সর্বোচ্চ গ্যাস বিল বকেয়া রয়েছে বলে টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস অফিসের ম্যানেজার আব্দুর রউফ জানিয়েছেন। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি বকেয়া বিল উত্তোলনে সর্বোচ্চ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের কতিপয় কর্মকর্তা সিএনজি স্টেশনের মালিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের সঙ্গে যোগসাজস করে উৎকোচ গ্রহণ করতেন।মাসের পর মাস কোটি কোটি টাকা গ্যাস বিল আদায়ে চাপ না দিয়ে তারা উৎকোচ গ্রহণ করতেন।গ্যাস বিল বকেয়া রাখার নিয়ম না থাকলেও গ্রাহকদের সঙ্গে অনৈতিক লেনদেন চালু থাকায় এই বিপুল অংকের টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।টাঙ্গাইল অফিসে কর্মরত বর্তমান এক কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ে টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজারদের সঙ্গে আব্দুল কাদের নামের এক ব্যাক্তি সিএনজি স্টেশনগুলোর সঙ্গে অলিখিত চুক্তি করতেন। সাসিক ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করে তারা মাসের পর মাস কোটি কোটি টাকা বিল বকেয়া রাখতেন। এতে বিল আদায়ে আগ্রহী না হওয়ায় কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে বলে তিনি জানান।
এদিকে গত জানুয়ারিতে বর্তমান ম্যানেজার আব্দুর রউফ যোগদানের পর বকেয়া বিল আদায়ে তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।সিএনজি স্টেশন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়া বন্ধ করে বকেয়া বিল পরিশোধে চাপ দিতে থাকেন।
গত সোম ও মঙ্গলবার তিনি বকেয়া বিল আদায়ে করটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসে অবস্থিত মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ৯ মাস ধরে কম্পেসার বিল বকেয়া রাখায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
দুই দিন বন্ধ থাকার পর সিএনজি স্টেশনের মালিক বিল পরিশোধ করলে বুধবার বিকেলে পূনরায় গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশনের ম্যানেজার আব্দুর রউফ বলেন, তিনি যোগদানের পূর্বে নানা অনিয়ম চালু ছিল। ফলে বিপুল অংকের টাকা বিল বকেয়া পড়েছে। তিনি যোগদানের পর অনিয়ম বন্ধ করে বকেয়া বিল উত্তোলনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।আগামী ছয় মাসের মধ্যে বকেয়া বিল উত্তোলনে তিনি সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ