Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

র‍্যাবের তৎপরতায় মাদক কাবারে জড়িত রোহিঙ্গারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে -র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ১:১৬ পিএম

কক্সবাজার এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক কারবারে জড়িতদের শতকরা ৮০ ভাগই রোহিঙ্গা শরনার্থী বলে জানান র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ।

তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের মানুষ হওয়ায় সেই এলাকা ও সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ধারণা রয়েছে। আবার এখানেও দীর্ঘদিন থাকায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কেও তাদের ধারণা জম্মেছে। ফলে তারা মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার ৯ জুন ইয়াবা, স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং এ র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ

একথা বলেন।

উইং কমান্ডার আজিম আহমদ আরো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মাদক উদ্ধার করা খুব কঠিন কাজ। কারণ রোহিঙ্গারা পাহাড়ি এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে বসবাস করে। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীর মধ্যে যারা ইয়াবা বহন, মজুদ, কারবারে জড়িয়ে পড়েছে তাদের বের করা সহজ নয়।

তিনি বলেন, মাদক কারবারে রোহিঙ্গারা জড়িত না থাকলে সরকারের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবার বন্ধে সহজে সফলতা অর্জন করতে পারতো। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় রোহিঙ্গা মাদক কারবারীরা দিন দিন কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। আবার রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়রাও মাদক কারবারে জড়িত রয়েছে।

র‍্যাব-১৫ অপরাধ দমনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও কাজ করছে। যার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সম্প্রতি ৪৫ লক্ষ ইয়াবার একটি বড় চালান র‍্যাব আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের চেইন্দাস্থ সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ আরো বলেন, র‍্যাব-১৫ এর সাথে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন সহ সরকারের সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছে। র‍্যাব-১৫ সীমিত জনবল নিয়ে মূলত জঙ্গি, মাদক, অস্ত্র, হত্যা, ধর্ষন প্রতিরোধকে প্রাধান্য দিয়ে কক্সবাজারে কাজ করছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে র‍্যাব-১৫ প্রধান উইং কমান্ডার আজিম আহমদ বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য মাদক কারবারে জড়িত আছে কিনা এ ধরনের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কিশোর গ্যাং এর অপরাধ দমনেও র‍্যাব-১৫ কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আরো বলেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়া মাদক কারবারীদের তারা মনিটরিং এ রেখেছেন।

প্রেস ব্রিফিং এ র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া এন্ড অপারেসন্স) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ