পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলার মতো। এ মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শিশু ধর্ষণ মামলার এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল চেয়ে সরকারপক্ষের করা আবেদনের শুনানিকালে মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির মতে, সোশ্যাল কনটেক্সট (সামাজিক পরিস্থিতি) খুব খারাপ। যেকোনো বয়সের নারী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এটি ভাবিয়ে তোলার মতো। সবচেয়ে মুখ্য বিষয় হলো কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর তার বিচার হওয়া। অপরাধ সংঘটনের পর অপরাধীর বিচার হবে নাÑ এরকম পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়। সে জন্য যেকোনো অপরাধের বিচারটাকেই বড় করে দেখা হয়। বিচারহীনতা যেন না থাকে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে নেত্রকোনার মদনে পাঁচ বছরের এক শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামি হুমায়ুন কবির রজতকে মৃত্যুদণ্ড দেন নেত্রকোণার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। ২০০২ সালে এ রায়ের পর আসামির মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বয়স বিবেচনায় আসামির সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন করে দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে আপিল করে সরকারপক্ষ। আপিলে আসামির মৃত্যুদণ্ড বহালের আবেদন জানানো হয়।
আপিল শুনানিতে সরকারপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছেন এই আসামি। এর চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে!
আদালত বলেন, ঘটনার সময় আসামির বয়স তো দেখছি ২৪/২৫ বছর। বয়স কম হলেও পূর্ববর্তী কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকলে সে ক্ষেত্রে সাজা কমানোর বিষয়ে আপিল বিভাগের বেশকিছু রায় রয়েছে। পরে সরকারপক্ষের করা সাজা বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।