Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি, বিদ্যুতের জন্য নেই কোন বিকল্প ব্যবস্থা কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ৪:০৯ পিএম

সামান্য বাতাসেই থাকেনা বিদ্যুৎ, ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। ঝড়ের এই মৌসুমেও নেই বিকল্প কোন ব্যবস্থা । লোডশেডিং হলেই অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। ঝড়ের জন্য ৬/৭ ঘন্টাও অন্ধকারে কাটানোর রেকর্ডও আছে । পুরো হাসপাতালটাই অন্ধকার, মোমবাতির আলোই তাদের ভরসা। বিদ্যুৎ না থাকায় ইসিজি করা হয় মোমবাতি জ্বালিয়ে এমন চিত্রও দেখা গেছে হাসপাতালটিতে। দীর্ঘদিন এই অবস্থার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্র।

জানা গেছে, হাসপাতালের জেনারেটরটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তপক্ষ এটি মেরামত করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ নেননি বলে হাসপাতালে আগত রোগী ও স্থানীয়রা জানান। গত সোমবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া নামক স্থানে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে। এতে জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৭ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। আর এই ৭ ঘন্টা অন্ধকারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়নি। রোগীর স্বজনরা মোমবাতি কিনে আলোর ব্যবস্থা করেছেন।

বজ্রপাতে নিহত মোহাম্মদ আলীর ভাইপো মিঠু মালিথা জানান, তার চাচাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর হাসপাতালের নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না। পরে পাশের ক্যানোলা ল্যাব থেকে ইসিজি মেশিন নিয়ে এসে মোমবাতি জ¦ালিয়ে ইসিজি করা হয়। ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা চাচাকে মৃত ঘোষণা করেন। সরকারি হাসপাতালে মোমবাতি জ¦ালিয়ে ইসিজি করার ঘটনা আসলেই বিরল। তিনি এর পরিত্রানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন ।

মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি উপজেলার বেজপাড়া এলাকার শীতা রাণীর স্বজন মিতা রাণী বলেন, সোমবার সন্ধ্যার আগ দিয়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসে। দীর্ঘসময় হাসপাতাল অন্ধকারে ছিল। নিজেরা মোমবাতি কিনে জ¦ালিয়ে খাওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করেছি। তিনি আরো বলেন, মোমবাতি না কিনলে রোগীকে ওষুধ দিবেন না বলে হাসপাতালের নার্সরা স্বজনদের বলছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনার মুঠোফোনে জেনারেটর বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে আসতে হবে। মুঠোফোনে কোন তথ্য দিবো না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জেনারেটর বিষয়ে কিছুই জানাননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ