বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আশুলিয়ায় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার সময় সড়ক ও জনপথের নিয়োজিত এক বৃদ্ধ শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামগড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। রোববার জামগড়া চৌরাস্তা এলাকায় বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন শ্রমিক জহির। তখন তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন এই কর্মকর্তা। সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সওজের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস ইঞ্জিনিয়ার্সের শ্রমিক জহির। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি রাস্তায় কাজ করতেছিলাম, টিআই সাজ্জাদ সাহেব এসে আমাকে মারধর শুরু করেন। আমি আমার অপরাধের কথা জানতে চাইলে আরও মারধর করার হুমকি দেন তিনি।’
এসএস ইঞ্জিনিয়ার্সের মালিক ও ঠিকাদার লায়ন ইমাম বলেন, জামগড়া রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আমার কর্মচারীরা সেখানে ইট বিছিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করছিল। এ সময় তাকে এসে লাঠি দিয়ে মারধর করেন টিআই সাজ্জাদ। তিনি আরও বলেন, আমি ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সাজ্জাদকে জিজ্ঞেস করেছি আমার শ্রমিক কী অপরাধ করেছে? উত্তরে সাজ্জাদ বলেন, ‘ওই শ্রমিক মুখে বিড়ি নিয়ে ভ্যান চালাচ্ছিলেন।’ ঠিকাদার লায়ন ইমাম বলেন, পুলিশ যদি আমাদের অসহযোগিতা করে আমরা কীভাবে কাজ করব? পুলিশ মারধর করার পর সব শ্রমিক কাজ বাদ দিয়ে চলে গিয়েছিল। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে তাদের কাজে ফিরিয়ে এনেছি। শ্রমিক জহির বলেন, আমি তো আমার কাজই করছিলাম। কোনো কথা না বলেই তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি তাকে বলছি আমরা রাস্তায় ইট দিচ্ছি। হাতের কবজিতে আঘাতের চোটে রক্ত বেড়িয়ে গেছে বলে ক্ষতস্থান দেখান তিনি। এর তিন দিন আগেও তাকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ জহিরের।
খোঁজ নিয়ে জানােেছ, এরআওে একাধিক সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন টিআই সাজ্জাদ। ঢাকা সড়ক বিভাগের (কল্যানপুর সড়ক) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. বদিউজ্জমান জানান, এমনিতেই সড়কের পরিস্থিতি খারাপ। এরমধ্যে টিআই সাজ্জাদ এক শ্রমিককে মারধর করেছে। তিনি বলেন, শুনেছি টিআই সাজ্জাদের মাথা নাকি একটু গরম।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ শুনেছি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আহত শ্রমিক তার ক্ষত স্থান দেখালো। পরে টিআই সাজ্জাদকে বললে তিনি ‘স্যরি’ বলেছেন। এ ব্যাপারে টিআই সাজ্জাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।