রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগীতে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের মরা খালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিত খাল খননের ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অধিদফতরের তিনটি সেতু ভেঙে পড়েছে। সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরআলগী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের ফলে এই সেতুগুলো ধসে পড়েছে।
জানা যায়, উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ কুরতলীপাড়া রাস্তায় পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের মরা খালের ওপর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট সেতু, কলেজ ফেরিঘাট থেকে পূর্ব টেকিরচর রাস্তায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫১ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট সেতু এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বুরাখালী চরে খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিত খাল খননের ফলে সেতু তিনটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মে তিনদিনের ব্যবধানে স্রোতের তোড়ে তিনটি সেতুই ধসে পড়ে।
এ ব্যাপারে কৃষক আবু সাঈদ ফকির জানান, এভাবে খাল খনন করা ঠিক হয়নি। সেতুগুলো ভেঙে যাওয়ায় আমরা এখন চরম কষ্টে আছি। আমাদের উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে শাকসবজি পরিবহনে ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। চরমছলন্দ গ্রামের মো. মুর্শিদ মিয়া জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে (মরা খালের) অপরিকল্পতিভাবে খাল খনন করছে। এর ফলে ওই তিনটি সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পড়েছে।
এ বিষয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের গফরগাঁও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদেরকে না জানিয়ে খাল খনন কাজ শুরু করেছে। সেতুগুলো নির্মাণের আগে খালগুলো সরু ছিল। দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেতু নির্মাণ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেতুগুলোর কাছে গভীর করে খাল খনন করায় মাটি সরে গিয়ে বেইজমেন্টে ফাটল ধরে ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের মরা খালে সেতু নির্মাণের আগে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো মতামত নেয়নি। নিজেদের দোষ আড়াল করতে তারা এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দোষারোপ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।