Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজ অর্থে বিএনপি নেতার রাস্তা মেরামত

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ অর্থায়নে চলাচলের অনুপোযোগি গ্রামের ৫শ’ ফুট কাঁচা দুইটি রাস্তায় ইটের আদলা ও ভিটি মাটি ফেলে মেরামত করে দিয়েছেন বিএনপি নেতা আজিজ রেজা। এতে সড়ক দুটিতে চলাচলকারী অটো এবং টমটমের যাত্রী ও চালকসহ স্থানীয়দের ভোগান্তি অনেকটা দূর হয়েছে।
আজিজ রেজা মির্জাপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, তফরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছিটমামুদপুর দক্ষিণপাড়া খেলার মাঠ হতে বড়বাইদের ওপাড় পর্য়ন্ত ২শ’ ফুট এবং গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি হতে ইব্রাহিমের বাড়ি পর্যন্ত ৩শ’ ফুট কাঁচা দুইটি রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকে। এতে সড়ক দু’টিতে চলাচলকারী অটো এবং টমটমের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। জনসাধারণের ভোগান্তি লাগবে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আজিজ রেজা নিজ অর্থায়নে রাস্তা দুটি মেরামতের উদ্যোগ নেন। তিনি গত কয়েক দিন ধরে ইটভাটা থেকে ইটের আদলা ও ভিটি মাটি কিনে সড়কের বড় বড় খানাখন্দকে ফেলে মেরামত করছেন। তার একাজে সহযোগিতা করছেন ওয়ার্ড বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, গ্রামের যুবক ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর, রিপন, হাসান, আলামিন, পারভেজ, আশিক ও সোলাইমানসহ অনেকে।
গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় ইটের আদলা ও ভিটি মাটি ফেলছেন। দুইটি রাস্তায় তিনি প্রায় ৩০ গাড়ি আদলা ও ভিটি মাটি ফেলেছেন। এতে তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ছিটমামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই সড়কে টমটম চালক আব্দুর রশিদ, পারভেজ এবং অটোচালক লাল মিয়া ও রফিক জানান, রাস্তায় বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টমটম ও অটো চালাতে হতো। এতে যাত্রীদেরও খুবই কষ্ট হতো। বিএনপি নেতা আজিজ রেজা তার নিজের পকেটের টাকা দিয়ে রাস্তায় ইটের আদলা ও ভিটি মাটি ফেলে দেয়ায় তাদের খুবই উপকার হয়েছে। সড়কে চলাচলকারী গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া, আবু আহমেদ, লাবু মিয়া বিএনপি নেতা আজিজ রেজার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
বিএনপি নেতা আজিজ রেজা বলেন, রাস্তা দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো। তাই তিনি নিজ অর্থায়নে ইটের আলদা ও ভিটি মাটি ফেলে দিয়েছেন বলে জানান।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গ্রামের কাঁচা রাস্তায় তাদের কাজ করার সুযোগ নেই। কেউ যদি ব্যক্তি উদ্যোগে জনদুর্ভোগ লাগবে কাজ করে থাকে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে তিনি জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ