পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ঋণনির্ভর বাজেটের মাধ্যমে দেশবাসীকে সুদের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে। তিনি বলেন, বাজেটের মূল অর্থ যোগানদাতা এনবিআর। গত অর্থ বছরে তাদের ওপরে দায়িত্ব ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা। এতে ব্যর্থ হওয়ায় তা সংশোধন করে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু এনবিআর ১০ মাসে সংগ্রহ করে মাত্র ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও যা ১লাখ ৩ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা কম। তিনি বলেন, বাজেটের আয়ের উৎসের এই দুর্বলতা নিয়ে আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি এবং এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে আগের মত ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, বিশাল অঙ্কের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেটে আয়ের উৎস না বাড়িয়ে এবং আয় প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে বাজেটের আকার বৃদ্ধি করা দেশকে ঋণ ও সুদের চক্রে ফেলে দেবে। সেজন্য আমাদের দাবি হল এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং জিডিপি কর রেশিও আদর্শ মেনে নিতে হবে।
পীর সাহেব বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও বিদেশি ঋণের সুদ দিতেই বাজেটের বড় অংশ চলে যায়। এরপরেও আগামী অর্থবছরে ঋণ নেয়া হবে দুই লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে উচ্চ সুদের ঋণ নেয়া হবে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এভাবে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা ও ঋণের সুদ মেটানোর এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিপাকে পড়ে যাচ্ছে দেশ।
শুল্ক হারে ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া অর্থনীতির জন্য ভালো ফল বয়ে আনে সত্য, কিন্তু তার প্রধান শর্ত হলো ব্যবসায়ীরা সততার সাথে ব্যবসা করা। বাংলাদেশে আমরা তা দেখি না বরং ব্যবসার ছলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অভিশাপ হয়ে আছে। সে জন্য আগামী অর্থবছরে ব্যবসায়ীদের কর ছাড়ের সাথে তাদের সততা নিশ্চিত করতে নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
আগামী পৃথিবীতে এমন সব প্রকল্প ঢোকানো হয়েছে যা বিলাসী ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বা কর্মসংস্থানের সহায়তা করবে না। এটা হতাশাজনক। এই দুঃসময়ে ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ, বাংলো ও সার্কিট হাউজ, পাঁচ তারকা হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণের মতো প্রকল্প করা হয়েছে। এটা হতাশাজনক। একদিকে বাজেটের টাকা জোগাড় করতে সুদের ওপরে ঋণ নিতে হচ্ছে। অন্যদিকে ভবন, পার্ক ও হোটেল নির্মাণ করতে এডিপিতে প্রকল্প ঢোকানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি এবং এসব প্রকল্প এডিপি থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, সরকার পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইসরাইল শব্দ তুলে দেয়া প্রসঙ্গে ব্যাখায় বলেছেন, আন্তর্জাতিক মান রাখতে তা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া এবং ইসরাইলকে খুশি করার জন্য পাসপোর্ট থেকে একসেপ্ট ইসরাইল শব্দ তুলে দিয়েছে। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি অবিলম্বে পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ সংযোজন করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নগর ও থানা আমেলা যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, মানুষের বাক-স্বাধীনতার অধিকার নেই, মানুষ অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নে দেশ ভেসে যাচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতায় পুরো ঢাকা তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ চরমে। তারপরও মেয়রদ্বয় আত্মতৃপ্তির ঢেকুর ফেলছে। যা চরম হাঁসির পাত্র হিসেবে মানুষ মনে করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।