Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০ ভাগ পর্যন্ত কমতে পারে উৎপাদনশীলতা

শ্রমিকের অপুষ্টি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশের বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বড় অংশ অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির কারণে শ্রমিকের কর্মক্ষমতা ও উৎপদানশীলতা ২০ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) শ্রমিকের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া জরুরি।

গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থাান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদফতরের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত শ্রম মন্ত্রণালয় ও গেইন বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯িাত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থাান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম। শ্রম ও কর্ম সংস্থাান মন্ত্রণালয় আওতাধীন শ্রম অধিদফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সহযোগিতায় ছিল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)। নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। শ্রম অধিদফতর ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিলেশানস ইনস্টিটিউট (আইআরআই) কর্মকর্তাদের স্বক্ষমতা বাড়ানো, পুষ্টি ও নিরাপদ খাবার গ্রহণে শ্রম অধিদফতরের সমন্বিত সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নগুলোতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা অণুসরণের লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

এই চুক্তির আওতায় শ্রম অধিদফতর ও গেইন শ্রমিকদের পুষ্টি উন্নয়নে যৌথ ও স¦ক্রিয়ভাবে কাজ করবে। গেইনের ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের অংশ হিসাবে এটি বাস্তবায়িত হবে। এর পাশপাশি উভয়ই পুষ্টি ও কর্মশক্তি উন্নয়নে কর্মরত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, এই সংক্রান্ত জ্ঞান ও তথ্য বিনিময় এবং পেশাগত স্বাস্থ্যা ও সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এছাড়া এর আওতায় শ্রম অধিদফতর গেইনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি, ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ আয়োজন, শ্রমিকদের মাঝে সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন ও এই বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করবে।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থাান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) গৌতম কুমার, গেইন-বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, শ্রম অধিদফতরের পরিচালক মো আবু আশরিফ মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ‘কর্মশক্তি ও পুষ্টি’ সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন গেইন বাংলাদেশে-এর পোর্টপোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল।

কে এম আব্দুস সালাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা; তিনি ৪৮ বছর আগে পুষ্টি বিষয়টিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সে কারণেই জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শখ হাসিনা। সরকার প্রধান মনে করেন, অপুষ্টির কারণে সংঘঠিত রোগব্যাধি ব্যক্তিজীবনে কর্মঘণ্টা হ্রাস ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করে, যা সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত করে। তাই অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে এই সংক্রান্ত উপস্থাাপনায় মনিরুজ্জামান বিপুল জানান, বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী-শ্রমিকের যথাযথ পুষ্টি জাতীয় উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। তিনি জানান, শুধু আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যে উৎপাদনশীলতা কমায়, তার আর্থিক মূল্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত: গেইন ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ২১ টি কারখানায় কাজ করে। এসব কারখানায় ৫২ হাজার শ্রমিক কাজ করে, যেখানে ৬৩ শতাংশই নারী ও ৪৭ শতাংশ পুরুষ। এর আওতায় এই পর্যন্ত ৪৩ হাজার শ্রমিকদের পুষ্টি ও ওয়াশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রমিক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ