পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী অর্থ বছরের জন্য সংসদে পেশকৃত বাজেটে বিভিন্ন খাতে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য হলেও তার অনেকটাই বাস্তবায়ন নিয়ে কিয়ৎ সন্দেহের অবকাশ আছে। বাজেট প্রণয়নে কাগজে-কলমে হিসাব গ্রহণযোগ্য হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এসব হিসাব অর্জন সম্ভব হয়ে উঠে না।অতীতের ধারা তাই বলে।এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীদের সুবিধা আরও বাড়ানো হয়েছে।তবে সুবিধাভোগীদের সুবিধা আদায়ের পথটি মসৃন নয়, কথামালা একেবারে নিশ্চায়কও নয়।রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আদায় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি আগের মতই গতানুগতিক।অনিয়ম বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা নেই। এনবিআর এর এবারের লক্ষ্যমাত্রা গতবারের চেয়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা বেশি হলেও তা কতটা আদায়যোগ্য প্রশ্ন রাখে।বাজেটের আকারের সাথে মিলিয়ে এনবিআর এর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা আর কিবা হতে পারে। আবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখাও সহজ বিষয় নয়।
আগামী অর্খ বছরে কৃষি, স্বাস্খ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সুখকর, তবে এসব খাতে কল্যাণমুখী কার্যক্রম নিষ্ঠার সাখে পরিচালনার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। স্বাস্খ্য খাতে যে বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হচ্ছে তার লাগাম টেনে ধরা জরুরী। বিরাজমান করোনা সংকটে স্বাস্থ্য থাতে বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন অক্সিজেন, হাসপাতাল, আইসিইও সংথ্যা বাড়ানো , ভ্যাকসিন ও ক্রয় সংক্রান্ত মনিটরিং জরুরী। এসব বিষয়ে বাজেটে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকা উচিৎ ছিল।
এবারের বাজেটে বড় ব্যবসায়ী, শিল্প গোষ্ঠীকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে অধিকতর কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তা সাধুবাদ জানাই।কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকটা উপেক্ষিত হয়েছেন।তবে প্রণেদনা একমাত্র ভরসা।
অনেক খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও এসব সুবিধা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, স্বল্প আয়ের মানুষ নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য প্রমানের অভাবে পরিশেষে কিছুই পায় না। সে জন্য এই বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন ছিল।স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে কোন সুবিধা পৌছাবার আগেই মসৃন করতে হবে পৌছানোর পথ।এসব বিষয়ে বাজেটে সুস্পষ্ট ঘোষনা থাকা উচিৎ ছিল।
বাজেটে নীতি, কৌশল ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা অনুপস্থিত।ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য পণোদনা পৌছানোর উদ্যোগ এবারও অস্পষ্ট।গতবারে প্রাপ্ত বরাদ্দ মোটেও সঠিক জায়গায় পৌঁছায় নাই।ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ছিল।তাই এবার ক্ষুদ্র লোন সংস্থা, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফ এর মাধ্যমে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
এডিপিতে যত প্রকল্প নেওয়া হয়, তার অথিকাংশই বাস্তবায়ন হয় না। এডিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলা হয়। এতে ব্যাংতগুলো বন্ড কিনতে উৎসাহী হবে, অথচ উদ্যোক্তাদের লোন প্রদানে অনীহা দেখাবে।তাই এডিপিএর আকার আরও ছোট হলে ভালো হতো।ব্যাংকগুলোকে পক্ষান্তরে বন্ডে বিনিয়োগ উৎসাগিত করা হয়েছে।ফলে বেসরকারি খাতে লোন না পাওয়ার আশঙ্কা আছে।বাজেট বাস্তবায়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের উদ্যমী হয়ে দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করলে বাজেট বহুলাংশে বাস্তবায়ন সম্ভব।সরকারী অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে হবে। প্রশাসন ও বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা ও কর্মস্পৃহা বাড়াতে হবে।
অপ্রদর্শিত অর্খ উৎপাদনশীলখাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রদর্শনের সুযোগ দিতে হবে।ভ্যাট আইন সহজীকরনের কোন উদ্যোগ বা নির্দেশনা এবারের বাজেটে নাই।
করোনাকালীন স্বাস্থ্যখাতে বেশী বরাদ্দ পরিলক্ষিত। তবে সেই বরাদ্দ কিভাবে সময়মত বাস্তবায়ন করা হবে, প্রক্রিয়া কিভাবে সহজতর করা যায় সে বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা নাই।দারিদ্র বিমোচন ও কর্ম সংস্থান বিষয়ে অধিকতর ফোকাস প্রয়োজন ছিল।
সার্বিক ভাবে যদি বলি, করোনা পরিস্থিতিতে এবার যে বাজেট পেশ করা হয়েছে সেটা মোটামুটি ভালো। বাজেটের আকার, অন্য সব কিছু মিলে এটা চলতি বাজেট থেকে ভালো। গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে যেমন করোনা উত্তর ব্যবসা-বানিজ্য চাঙ্গা করার বিষয়টি বাজেটে আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন করে করের বোঝা চাপানো হয়নি।অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যো্ক্তাদের কর রেয়াত সহ দেশি শিল্প বিকাশে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে বাজেট মন্দের ভালো ।পরিশেষে বলা যায়, করোনা মহামারী মোকাবেলা করে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে অসামান্য ভূমিকা রাখবে এ বাজেট যদি সঠিক ও সময়োপোযোগী অর্থনৈতিক পরিকণ্পনা হাতে নিয়ে এ বাজেটকে অর্থবহ করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।