Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সবুজ পরিবেশ নষ্ট করছে গরু!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ৫:৪৪ পিএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এক বছরেরও বেশী সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখন যেন গো-চারণ ভূমি। ক্যাম্পাসে গরু-ছাগল ঢুকে খেয়ে ফেলছে মাঠের চারপাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লাগানো গাছের চারা । এতে সবুজ ক্যাম্পাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসের রাস্তায় গবাদি পশুর যত্রতত্র মলমূত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের রাস্তায় যাতায়াতেও সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। বন্ধ ক্যাম্পাসে বেড়েছে বহিরাগতদের আড্ডাও। কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রিল বাউন্ডারি ও ৪টি গেট নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে এর সুফল বঞ্চিত হচ্ছে সবাই। ২০১১ সালে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে সদর উপজেলার কর্নকাঠী এলাকায় ৫০ একর জায়গা জুড়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্যাম্পাসে রয়েছে ৪টি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, ২টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ভিসির বাসভবন, লাইব্রেরী, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া ও টিএসসি ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ২টি ডরমেটরি, ১টি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন সহ ছোট কিছু স্থাপনা।

গত বছরের ১৭ মার্চের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে নিজস্ব বাসভবনে থাকেন ভিসি। ডরমেটরীতে থাকেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন সকাল-বিকেল ক্যাম্পাসে গিয়ে আড্ডা দেয় আশপাশের বিভিন্ন মেসে থাকা শত শত শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে গবাদি পশুর অবাধ বিচরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রাচীর এবং গেট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বৃক্ষরোপণ কমিটির আহ্বায়ক ড. সুব্রত কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পাসে গ্রিল বাউন্ডারি থাকলেও গেইট নেই। ইদানীং ক্যাম্পাসে গরু-ছাগল বিচরণ বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ