বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উৎপাদন বেশি হওয়ায় বগুড়ায় কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে কেজিতে ৪/৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ কোথাও ১৫,কোথাও ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর কাঁচামালের আড়তদাররা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ পর্যন্ত কাঁচা মরিচের কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিলো প্রকারভেদে ১৫/২০ টাকা।
এসপ্তাহে সেটা কমে ৪/৫ টাকায় নেমে এসেছে। দরপতনের ব্যাক্ষায় আড়তদাররা বলেছেন, কাঁচামালের বাজার এরকমই হয়। বাজারে সরবরাহ প্রচুর অথচ ক্রেতা নাই দামতো কমবেই।
বগুড়ার কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি খরিফ মওশুমে জেলার ১২ উপজেলায় ১,৯৮২
একর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।
একর প্রতি ৩৫৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় ধরে হিসাব করলে মওশুমে মরিচ উৎপাদন হবে ৭০ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন।
বগুড়ার জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, এবছরের আবহাওয়া খরিফ ফসলের জন্য অনুকূল হওয়ায় মরিচের ফলন হয়েছে ব্যাপক।
তাছাড়া আগে শুধুমাত্র বগুড়া সদর ও পুর্ব বগুড়ায় অল্পবিস্তর মরিচের চাষ হতো। এখন
পশ্চিম বগুড়াতেও মরিচের চাষ বেড়েছে। এর
ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তারমতে দর পতনের এটাই মুল কারন।
তিনি মনে করেন, আলুর মত কাঁচা মরিচের সংরক্ষণের ব্যবস্থনেওয়া হলেই কেবল সারা বছর ধরে স্বাভাবিক মুল্যে কাঁচা মরিচের স্বাদ নেওয়া যাবে এতে সবচেয়ে লাভবান হবেন উৎপাদক চাষিরা।
এদিকে বগুড়ার রাজাবাজারে কয়েকজন মরিচ চাষির সাথে কথা বলে জানা গেল, গত বছর জৈষ্ঠ্য মাসে কাঁচা মরিচের দর ছিলো ২০/৩০ টাকা। আষাঢ় মাসে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে উঠেছিল ১০০ টাকার ওপরে।
এবারও ওই রকম দর পাওয়ার আশায় তারা মরিচের চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন সেটাই
আসলে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।