Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোটালীপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ রেখে নিজের গোডাউনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পিনজুরি ইউপি চেয়ারম্যান

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১১:২৩ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নতুন নির্মানাধীন ইউনিয়ন পরিষদ রেখে পিনজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন কাকডাঙ্গা গ্রামে তার নিজস্ব গোডাউনে। ফলে বিরম্বণায় পড়েছেন সেবা নিতে আসা বসবাসরত ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীরা বলেছেন পিনজুরি ইউনিয়ন বাসীর সেবার জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করেছেন কিন্তু চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার সে পরিষদ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা না করে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঘর বাজারে অস্হায়ী কার্যালয় করে সে খানে কাজ করতেন এখন আবার তার বাড়ি কাকডাঙ্গা গ্রামের গোডাউনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ফলে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেছেন চেয়ারম্যান তার একক সিদ্ধান্তে সরকারি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন রেখে বাব বার স্হান পরিবর্তণ করছেন, আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ কোথায়,অনেক খোজাখুজির পরে এসে দেখি তার গ্রামের বাড়ি কাকডাঙ্গা গ্রামে চেয়ারম্যান, সচিব কেউ নেই,শুধু তথ্য সেবার একজন লোক আছে তার কাছে জন্মনিবন্ধন করতে এলে ৫ শ ৩শ ২ শত টাকা তো দিতেই হয়। তারপর আবার মাসের পর মাস ঘুরতে হয়,বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তথ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জানান,এখানের কাজ শেষ কিন্তু চেয়ারম্যান এবং সচিব না থাকায় স্বাক্ষর হচ্ছেনা বলে তারা জানান। চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে গোডাউনে পরিচালিত অস্হায়ী কার্যালয়ে তথ্য সেবার মাহাবুব শেখ বলেন জন্মনিবন্ধন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে টাকা নেওয়ার কোন পরিপত্র বা নিতিমালা না থাকলে ও চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার এক থেকে বিশ বছর পর্যন্ত লোকের কাছ থেকে জন প্রতি ২ শত টাকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।এছাড়া আবার অনেকে খুশি হয়ে ৫ শ ৩ শত করে টাকা দিয়ে যায়।আব্দুল হান্নান তালুকদার বলেন নিবন্ধনের জন্য আমার কাছ থেকে ৫ শত টাকা নিয়েছে,তথ্য সেবার মাহাবুব। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ঘুরতেছি হাতে পাইনি।মিকাইল বিশ্বাস বলেন আমার নিবন্ধনের জন্য তিনদিন ঘুরি,এবং ৫ শত টাকা দাবি করে

টাকা দিতে পারিনাই বলে বেশ কয়েকদিন ঘুরতেছি। এখানে সচিব থাকেনা,জরুরী কোন কাজে চেয়ারম্যানকে ও পাওয়া যায়না,এর আগে ঘাঘর বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এখন আবার তার বাড়িতে । ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় তাকে কোনদিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখি নাই।মোঃ হাইউল শিকদার বলেন নিবন্ধনে চেয়ারম্যানের একটা স্বক্ষরের জন্য ২৫ ০ টাকা দিয়ে ৬ মাস ঘুরতেছি,মোঃ টুটুল ফকির বলেন আমার স্ত্রীর কার্ড হারিয়ে যাওয়ার পর ডিজিটাল নিবন্ধনটি এক্ষন পর্যন্ত স্বাক্ষর হয়নি।

পিনজুরী গ্রাম থেকে আসা সাবেক বিজিবি সদস্য বলেন আমার মত মানুষ যদি হয়রানীর স্বীকার হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে,সবাই চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছেন।আলী আকবর তালুকদার বলেন আমি আজ চারদিন ঘুরতেছি এখনো নিবন্ধন পাইনি,এছাড়া ও আমার সাথে আরো ৪/৫ জন লোক হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে। এছাড়াও চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদাররের বিরুদ্ধে সরকারি স্ট্রিট লাইট নিজের মৎস্য ঘেরে স্হাপন করা সহ সচিবকে মারপিট করে তারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এব্যপারে পিনজুরি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন করোনার কারনে রেজুলেশন করে কার্যক্রমের স্হান পরিবর্তণ করা হয়েছে,জন্ম নিবন্ধনে টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়নি,তবে নিবন্ধন করতে ওর নাকি খরচ আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন ওই ইউনিয়নে নিয়মিত সচিব নেই,যিনি আছেন তিনি অতিরিক্ত দায়ীত্ব পালন করছেন সে কারনে নিয়মিত উপস্থিত হতে পারছেনা,জন্মনিবন্ধনে টাকা নেওয়ার অভিযোগটি আমরা ক্ষতিয়ে দেখবো, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন থাকতে অন্য স্হানে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ