পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বক্তব্য বিদ্বেষপ্রসূত কথামালার চাতুরি। তারা সরকারের ভালো কিছু দেখে না। দিনের আলোতেই অন্ধকার দেখে।
গতকাল বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ‘সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেনি, ব্যবসায়ীদের দুই হাত ভরে দিয়েছে’ বলে অভিযোগ করে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ মনে করে, বাজেট নিয়ে তাদের এ বক্তব্য বিদ্বেষপূর্ণ, কথামালার চাতুরি। ভালো কিছু চোখে দেখে না তারা। এটা হচ্ছে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি। চোখ থাকতেও তারা হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে থাকে। সে জন্য প্রকৃত চিত্র তাদের কালো চশমায় ধরা পড়ে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বাজেটটি করা হয়েছে করোনা মহামারির মধ্যে জীবন এবং জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে, বাস্তবভিত্তিক সময়োপযোগী ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে।
এ সময় ঢাকা-১৪, সিলেট-৩ এবং কুমিল্লা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না শুনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়-ঝাঁপ বেড়ে গেছে। এবার মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। খুব একটা অসুবিধা নেই, এই কথা মনে করে অনেকেই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। পায় আর, না পায় সবাই প্রার্থী হতে চায়। কারণ বিএনপি নেই শুনেছে। সেই জন্য প্রার্থিতার দৌড়ও বেড়ে গেছে। নেত্রীর সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সাধারণ একটি গাইডলাইন তিনি দিয়েছেন। সেটা হলো আমি ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দেবো। যারা জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং দুঃসময়ে ছিলেন। এমন একটি ধারণা তিনি আমাকে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখানে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকবে। দলীয়ভাবেও রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। নেত্রীরও নিজস্ব একটি টিম আছে। সেই টিম দিয়ে তিনি মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আশাকরি আমরা যথাযথ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব সাংগঠনিক শাখার সম্মেলন হয়েছে, নিয়মিত কমিটি রয়েছে সেগুলোতে সদস্য সংগ্রহ বই দেওয়া শুরু করবো। কারণ করোনা কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। আমাদেরকে এর সঙ্গে বসবাস করতে হবে। সংগঠনও চালিয়ে যেতে হবে। চিহিৃত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদাকাসক্ত এই ধরনের লোক এবং যারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, এদেরকে কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না।
কাদের বলেন, কাউকে খুশি ও দলভারী করার জন্য কেউ যদি বিতর্কিত লোকদের টেনে আনেন, তাহলে তাকেও কিন্তু শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকটা টিমকে জবাবদিহি করতে হবে।
ঢাকার সিটির অসংখ্য কমিটি দুই জনের। কিন্তু অসংখ্য কর্মী কাজ করেন। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরলে স্ত্রী ও মা-বাবা জিজ্ঞেস করলে পরিচয় বলতে পারেন না। পরিচয় তারা আওয়ামী লীগ করে। অথচ পদ পড়ে আছে, কিন্তু দেওয়ার কেউ নাই। যারা এই পরিচয় দেওয়া থেকে বঞ্চিত করছেন, তারা সংগঠনকে বঞ্চিত করছেন। ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।