পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নমুখী বাজেট হিসেবে অভিহিত করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পরিষদ। গত বৃহষ্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিমত তুলে ধরেছে ডিএসই।
এতে বলা হয়েছে, ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করতে যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬ শত ৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, তার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে।
ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনের পরপরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়। ডিএসই মনে করে, এই বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নমুখী বাজেট।
দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের অর্জন ও উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়নমূলক ও ব্যবসাবান্ধব যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেজন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট করহার আরও কমিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশের স্থলে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ করায় ডিএসই অভিনন্দন জানাচ্ছে।
করপোরেট করহার কমানোর ফলে বাংলাদেশের বৃহৎ এবং স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। এ ছাড়াও সরকার পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিককরণের লক্ষ্যে নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলেও জানিয়েছে ডিএসই।
ডিএসই আরও জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য আধুনিক পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যথা: ট্রেজারি বন্ড, সুকুক, ডেরিভেটিভ, অপশন এর লেনদেন চালু করা, এসএমই ও এটিবি বোর্ড চালু করা, ইটিএফ চালু করা, ওপেন ইন্ড মিউচুয়্যাল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা, পুঁজিবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য যে সুদৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এ জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজার সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।