Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বাজেট

ছয় লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাব উপস্থাপন

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ঘাটতি এক তৃতীয়াংশের বেশি ‘জীবন-জীবিকা রক্ষার’ বাজেট : অর্থমন্ত্রী

দারিদ্র্য দূর করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মহামারি করোনা সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। দেশের অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য আর্থসামজিক উন্নয়নের গতিকে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। আর এ বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এ ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অঙ্ক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামালের দেয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতবারের মত এবারও অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালকে বাজেট দিতে হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্কটে টিকে থাকার পাশাপাশি অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে। তার এবারের বাজেটের শিরোনাম- ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’।

সংক্রমণ এড়াতে এবারও স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় চলছে বাজেট অধিবেশন; অধিবেশন কক্ষে মুখে মাস্ক আর হাতে গøাভস পরে সংসদ সদস্যদের বসতে হয়েছে দূরত্ব বজায় রেখে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারির ধাক্কায় গত বছর থেকে সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। এবারের ৬ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এ বছর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশের বেশি।

মহামারীর প্রথম ধাক্কা সামলে অর্থনীতির চাকা সচল হতে শুরু করেছিল এ বছর শুরুর দিকে। কিন্তু সংক্রমণ সামাল দিতে আবারও সরকারকে লকডাউনের পথে যেতে হয়েছে। দুই বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি না থাকায় রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন।

তার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এ অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৮ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। টাকার ওই অঙ্ক মোট বাজেটের ৫৫ শতাংশের মত।

গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ শতাংশের মত বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা ১ লাখ ১৫ হাজার ২১৭ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আয়কর ও মুনাফার ওপর কর থেকে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩৭ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৫৪ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, রফতানি শুল্ক থেকে ৫৬ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে বাজেট প্রস্তাবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধনে তা ৫ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব সংসদের সামনে তুলে ধরেছেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে রেকর্ড ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার মত, যা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়। তবে মহামারীর সঙ্কটে প্রণোদনার টাকা যোগানোর চাপ থাকায় গতবারের মত এবারও তা সম্ভব হয়নি। বরাবরের মতই বাজেট ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রীকে নির্ভর করতে হবে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণের ওপর। আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, বিদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ঋণ করে ওই ঘাটতি তিনি মেটাবেন। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে। মহামারীর মধ্যেই বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা দুই দফা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, তার নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে এবারও রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। কৃষি খাতের জন্য ১০ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রণোদনা, জনপ্রশাসনে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষায় ৫২৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৯৩৫ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তায় ৪ হাজার ৪ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে আগামী অর্থবছরেও ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এদিকে তৈরি পোশাক রফতানিতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

এবার প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আর অর্থনীতিকে আগের ধারায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আগামী অর্থবছরের বাজেটের সেøাগান- ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’। বাজেট বক্তৃতায় সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভ‚ত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয় তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা স¤প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা করেছে।

সবশেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাজেটে দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষ- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তাদের জীবন জীবিকা। একই সঙ্গে আশার কথা দিয়ে শেষ করেছেন তার বাজেট বক্তব্য। উপসংহারে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এমনিভাবে অর্জিত হবে ২০৩০, ৩১, ২০৪১ ও ২১০০ সালসহ সকল স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর ড. সেলিম রায়হানের মতে, ঘাটতির চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বাজেট বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, গত বাজেটেও স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য অনেক খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল। সরকার এগুলো খরচ করতে পারেনি।

অবশ্য চলমান করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিষ্কার যেসব দিকনির্দেশনা থাকা উচিত ছিল, তা নেই বলে মনে করছে সিপিডি। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়া উচিত ছিল, তা-ও রাখা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট দুর্বল অনুমিতি এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতা চ্যালেঞ্জে ফেলবে বলেও মনে করছে সিপিডি।

সিপিডি বলেছে, করোনার এই সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে যা থাকার কথা, তা নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। সিপিডি মনে করে, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় আরও বেড়েছে। উন্নয়ন ব্যয় আশানুরূপ বাড়েনি। তাই অনুন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই বলেও মনে করে সিপিডি।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৪ জুন, ২০২১, ১:২৫ এএম says : 0
    অর্থনীতিবিদরা বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবেন। বিশ্ব অর্থনীতি মহামারীতে ভয়াবহ ভাবে খতিগ্রস্থ। মানুষের জীবন জীবিকার কঠিন সময় আক্রান্ত মৃত্যুর মাঝে বাংলাদেশ বিশালাকার মানব কল‍্যান মুখী জন বান্দব বাজেট সত‍্যিকার অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের ভয়াবহ মহামারীর শুরুতে বিশাল দক্ষতাই লক্ষকোটি প্রনোদনা বিশ্ব অর্থনীতির সবকিছু বন্দের মাঝেও বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতা বিচক্ষতার সাথে দক্ষতার সাথে চরম সাহসিকতার সাথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পাশ্ববর্তী পাকিস্তান ভারত সহ দক্ষিণ অনেক দেশ পিছনে পেলেছেন। বাংলাদেশের সাফল্যের পিছনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রশারীচিন্তা চেতনাগঠন মুলক পরিকল্পনা ভীশনারী লিডারশিপ বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার সাফল্যের চাবিকাঠি ইত্যাদি ইত্যাদি।বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতিক শক্তিতে পরিণত হবেই ঐক্যবদ্ধ জাতি সকলস্তরের মানুষের ভালবাসা মহামারীর এই কঠিন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ রাষ্ট্রের বাজেট প্রস্তুতকারী গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তিদের শ্রদ্ধা অভিনন্দন সালাম আর সালাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rafiqul Islam Bhuiyan ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
    বাহ! উন্নয়নের জোয়ারে ভাসব আমরা ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Azad Muhammad Abid ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
    জয় বিশ্বনন্দিত প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Nowshad Rony ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
    যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Year Ali Shikder ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৬ এএম says : 0
    গৌরব ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৭২ বছর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রতিচ্ছবি জয়তু মাননীয় মানবিক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে চলছে দূর্বার সমৃদ্ধির অদম্য অগ্রযাত্রায় আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Bazlur Rashid ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৬ এএম says : 0
    ১৯৭১-এ বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের হাত থেকে মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্ত করেছিল - এই মহানায়কের সুযোগ্য কন্যা সৎ,মেধাবী,বিজ্ঞানমনস্ক, পরিশ্রমই,দূরদর্শী, উদার,মানবিক,ও প্রকৃতিপ্রেমিক জনতার নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গভমেন্টের প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ভাগা জাতি কে অর্থনৈতিক মুক্তি, সমৃদ্ধি ও মর্যাদা এনে দিয়েছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Emrul Kaies ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৮ এএম says : 0
    Alhamdulillah..we have a new Budget.......But please have a grief over those Corrupt Governments Officials..who brings Bad reputation for the Government. joy Bangla Joy Bongobondhu .
    Total Reply(0) Reply
  • Abhishek Dey ৪ জুন, ২০২১, ১:৪৮ এএম says : 0
    Congratulations To Government Of Republic Bangladesh, Honorable Prime Minister, Mother Of Humanity, Champion Of The Earth, Vaccine Hero, One Of The Most Successful Prime Minister Of World, Sheikh Hasina MP.
    Total Reply(0) Reply
  • Lutfor Rahman ৪ জুন, ২০২১, ১:৫০ এএম says : 0
    যতদিন থাকবে শেখ হাসিনা হাতে দেশ পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। যুগান্তকারী বাজেট উপস্থাপন করায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে ধন‍্যবাদ।স্বল্প আয়ের মানুষকে প্রণোদনা, ক্ষুদ্র শিল্প উদ‍্যোক্তাদের সুদমুক্ত ঋণসহ সকল সুযোগ সুবিধার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Najim ৪ জুন, ২০২১, ১:৫২ এএম says : 0
    করোনার মধ্যে জিবন জীবীকার রক্ষার জন্য বড় বাজেটের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir Tonmoy ৪ জুন, ২০২১, ১:৫৩ এএম says : 0
    Covid-19 incentive package could be allocated on employment and economic recovery, especially to boost up the private sector. The government should increase the capital expenditure rather than current expenditure. Transparency of health sector and budget should be increased to 7.5%. Social protection budget is essential for non government employees for reduction poverty.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৪ জুন, ২০২১, ৩:৪৪ এএম says : 0
    আপনাদের কথা অবশ্যই যুক্তিগত,কিন্তু জীবন জীবিকার বাজেট কাদের জন্য গরিবদের কি অধিকার থাকবে ,না কি বড় বড় লোকদের জীবন জীবিকার জন্য করা হয়েছে,বিশেষ করে সেই দিকেই আপনারা চোখ রাখতে হবে ,জীবন জীবিকার বাজেট করা হয়েছে কিন্তু বেয়াল মাছ আর অজগর বাগা ভাগী করে খাবে,সেটা যেন না হয় লক্ষ রাখতে হবে,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ