পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘাটতি এক তৃতীয়াংশের বেশি ‘জীবন-জীবিকা রক্ষার’ বাজেট : অর্থমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূর করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মহামারি করোনা সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। দেশের অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য আর্থসামজিক উন্নয়নের গতিকে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। আর এ বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এ ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অঙ্ক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামালের দেয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতবারের মত এবারও অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালকে বাজেট দিতে হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্কটে টিকে থাকার পাশাপাশি অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে। তার এবারের বাজেটের শিরোনাম- ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’।
সংক্রমণ এড়াতে এবারও স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় চলছে বাজেট অধিবেশন; অধিবেশন কক্ষে মুখে মাস্ক আর হাতে গøাভস পরে সংসদ সদস্যদের বসতে হয়েছে দূরত্ব বজায় রেখে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারির ধাক্কায় গত বছর থেকে সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। এবারের ৬ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এ বছর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশের বেশি।
মহামারীর প্রথম ধাক্কা সামলে অর্থনীতির চাকা সচল হতে শুরু করেছিল এ বছর শুরুর দিকে। কিন্তু সংক্রমণ সামাল দিতে আবারও সরকারকে লকডাউনের পথে যেতে হয়েছে। দুই বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি না থাকায় রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন।
তার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এ অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৮ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। টাকার ওই অঙ্ক মোট বাজেটের ৫৫ শতাংশের মত।
গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ শতাংশের মত বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা ১ লাখ ১৫ হাজার ২১৭ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আয়কর ও মুনাফার ওপর কর থেকে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩৭ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৫৪ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, রফতানি শুল্ক থেকে ৫৬ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে বাজেট প্রস্তাবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধনে তা ৫ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব সংসদের সামনে তুলে ধরেছেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে রেকর্ড ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার মত, যা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়। তবে মহামারীর সঙ্কটে প্রণোদনার টাকা যোগানোর চাপ থাকায় গতবারের মত এবারও তা সম্ভব হয়নি। বরাবরের মতই বাজেট ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রীকে নির্ভর করতে হবে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণের ওপর। আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, বিদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ঋণ করে ওই ঘাটতি তিনি মেটাবেন। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে। মহামারীর মধ্যেই বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা দুই দফা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা করছেন, তার নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে এবারও রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। কৃষি খাতের জন্য ১০ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রণোদনা, জনপ্রশাসনে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষায় ৫২৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৯৩৫ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তায় ৪ হাজার ৪ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে আগামী অর্থবছরেও ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এদিকে তৈরি পোশাক রফতানিতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
এবার প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আর অর্থনীতিকে আগের ধারায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আগামী অর্থবছরের বাজেটের সেøাগান- ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’। বাজেট বক্তৃতায় সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভ‚ত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয় তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা স¤প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা করেছে।
সবশেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাজেটে দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষ- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তাদের জীবন জীবিকা। একই সঙ্গে আশার কথা দিয়ে শেষ করেছেন তার বাজেট বক্তব্য। উপসংহারে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এমনিভাবে অর্জিত হবে ২০৩০, ৩১, ২০৪১ ও ২১০০ সালসহ সকল স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর ড. সেলিম রায়হানের মতে, ঘাটতির চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বাজেট বাস্তবায়ন। তিনি বলেন, গত বাজেটেও স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য অনেক খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল। সরকার এগুলো খরচ করতে পারেনি।
অবশ্য চলমান করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিষ্কার যেসব দিকনির্দেশনা থাকা উচিত ছিল, তা নেই বলে মনে করছে সিপিডি। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়া উচিত ছিল, তা-ও রাখা হয়নি। আগামী অর্থবছরের বাজেট দুর্বল অনুমিতি এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতা চ্যালেঞ্জে ফেলবে বলেও মনে করছে সিপিডি।
সিপিডি বলেছে, করোনার এই সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে যা থাকার কথা, তা নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। সিপিডি মনে করে, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় আরও বেড়েছে। উন্নয়ন ব্যয় আশানুরূপ বাড়েনি। তাই অনুন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই বলেও মনে করে সিপিডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।