পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৭ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব পাঠ শুরু করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বিশ্বে স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলওয়ে খাতটি অধিকতর নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে বিবেচিত। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বল্প খরচে ও নিরাপদে ভ্রমণ এবং যোগাযোগের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এ খাতের সুষম ও সুসংহত উন্নয়নের স্বার্থে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০৪৫) সংশোধিত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার, মোংলা বন্দর, টুঙ্গীপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেল লিংক স্থাপন, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও আঞ্চলিক রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপন এবং উন্নত কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে কাছের শহরতলীর যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য প্রকল্প নিয়েছে। এই মহাপরিকল্পনার আওতায় ৬টি ধাপে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৯৮ দশমিক শুন্য নয় কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, বিদ্যমান রেললাইনের সমান্তরালে ৮৯৭ কিলোমিটার ডুয়ালগেজ/ডাবল রেললাইন নির্মাণ, ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কার, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং, গেটসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইসিডি নির্মাণ, ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং আধুনিকায়ন, ১৬০টি নতুন লোকোমোটিভ, এক হাজার ৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশনের সিগনালিং ব্যবস্থার মনোনয়নসহ রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা চিলাহাটি হলদিবাড়ি রুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য গত ২৭ মার্চ মিতালি এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। বিভিন্ন রুটে ছয়টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনার চুক্তি সই হয়েছে। রেলওয়ের সেবার মান বাড়ানোর জন্য ৪৭ হাজার ৭০৩টি পদ সম্বলিত সংশোধিত জনবল কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। দেশের রেলখাতে বাস্তবায়নাধীন বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম পদ্মাসেতু রেল লিংক প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ, চট্টগ্রাম দোহাজারি ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্পের প্রায় ৫৭ শতাংশ এবং মোংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া যমুনা রেলসেতু এবং রুপসা রেলসেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।