Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ১ হাজার ২২১ কোটি টাকা

পরিবেশবাদীদের মতে এ বরাদ্দ অপ্রতুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২১, ৬:১৯ পিএম

আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ফলে ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছরই এদেশে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েই এবারের বাজেটে এবারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ২২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে পরিবেশবাদীরা এ বরাদ্দকে অপ্রতুল বলে মনে করছেন। আজ জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব পেশ করেন।
বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৩৬ লাখ টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র তীরবর্তী ছোট দ্বীপসমূহ ও নদীতীরস্থ চরগুলোতে বনায়ন বা অভিযোজনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ। শিল্প দূষণ রোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ ও অব্যাহত রাখা, দূষণ সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা, দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান, যানবাহন এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং ইট প্রস্তুতের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উৎসাহিত করা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল নির্মাণ ও মেরামত কাজে ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব বøক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে ১ হাজার ২২১ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাবকে অপ্রতুল বলছেন পরিবেশবাদীরা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বাজেটে পরিবেশ বরাবরই অবহেলিত থাকে। পরিবেশের সাথে জনস্বাস্থ্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে এখন গ্রিন রিকোভারি করা হচ্ছে। সবাই একটা সুযোগ পেয়েছে তার পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকান্ড পুন:বিন্যাস করার। এ জন্য গ্রিন ডেভেলপমেন্টে নজর দিতে হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য বাজেটের বরাদ্দে রিসাইকেল, গ্রিন এনার্জি ও ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, আমাদের নদ-নদী মরে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে বনাঞ্চল। এসব বিষয়ে বাজেটে সুস্পষ্ট কোন করনীয় উল্লেখ নেই। নদী রক্ষায় বিষয়ে বাজেটে আলাদা গুরত্ব দেওয়া উচিত ছিল।

সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, আমরা বরাবরই দেখছি পরিবেশের জন্য যে বাজেট দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এবারও তাই হয়েছে। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ নদী আজ মৃত্যুর মুখে। দেশকে বাঁচাতে এসব নদী রক্ষা জরুরি। সরকারকে এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে গোটাদেশ মরুভ’মিতে পরিণত হবে। আমরা বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের জন্য অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ দাবি করেছিলাম। তাহলে নদীর দূষণ কমানো, রাজধানীকে সবুজায়ন, পরিবেশ দূষণ কমানো ও বনায়ন বাড়ানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা সম্ভব হতো।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৩ জুন, ২০২১, ৭:১০ পিএম says : 0
    এই বাজেটে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করতে অনেক সুবিধা হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় বাজেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ