Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বড় সংক্রমণ হলে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হতে পারে

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২১, ১২:১৪ এএম

দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে; বিশেষ করে সীমান্তবর্তী (রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ, এবং খুুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট) এলাকাতে সংক্রমণের উচ্চহার দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও আরও কিছু জেলাতে উচ্চ সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। ইতোমধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরেও বড় আকারে সংক্রমণ হলে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। গত মঙ্গলবার রাতে কমিটির পক্ষ থেকে আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর এস এম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৬ ও ৩৭ তম সভা জুমের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩০ ও ৩১ মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। ৩১ মে’র ৩৭ তম সভায় খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, লোকমান হোসেন মিয়া, সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহম্মদ খুরশীদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করা হয়। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে; বিশেষ করে সীমান্তবর্তী (রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ এবং খুুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট) এলাকাতে সংক্রমণের উচ্চহার দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও আরও কিছু জেলাতে উচ্চ সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। উপরন্তু, ইতোমধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আলোচনায় পরিলক্ষিত হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরেও বড় আকারে সংক্রমণ হলে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। যেমনটি বিভিন্ন উন্নত দেশে দেখা গেছে। সা¤প্রতিক কালে ভারত এই চ্যালেঞ্জ এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সংক্রমণ প্রতিরোধের কোন বিকল্প নাই এবং এতে জনপ্রশাসনের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। এই অবস্থায় সভা কিছু সুপারিশ করা হয়। তা হলো- দেশব্যাপী জারী করা সরকারি বিধি নিষেধ কঠোর ভাবে পালন, সংক্রমণের উচ্চহার বিবেচনায় অধিক ঝুঁকিতে থাকা সীমান্তবর্তী জেলা ও উচ্চ সংক্রমতি এলাকায় অঞ্চল ভিত্তিক সম্পূর্ণ লকডাউন দেয়া, জরুরী সেবায় নিয়োজিত ছাড়া সকল জনগনের বাড়িতে থাকার আদেশ দেয়া, সীমান্তবর্তী জেলা সমূহে অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরুপে বন্ধের জন্য কঠোর নজরদারীর ব্যবস্থা করা ও টহলের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় কার্যক্রম গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষমতার্পণ করা।
একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী সকল জেলাসহ উচ্চ সংক্রমিত এলাকা থেকে আন্তঃ জেলা গণপরিবহন বন্ধ করা, জেলা পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধের বিধি নিষেধ পালনে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয় করা, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি নিষেধ নিশ্চিত করণের উদ্দেশ্যে কঠোর মনিটরিং জোরদার করা এবং এ বিষয়ে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্তরায় দূরিকরণে আইন সংশোধন করা। এছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত বিধি নিষেধের প্রয়োগ অব্যাহত রাখা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ