পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। লাগাতার ১৬ মাস ধরে স্কুল, কলেজ, আলিয়া মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। মাঝখানে কিছুদিন কওমি মাদরাসা চালু থাকলেও আবারো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও আলিয়া মাদরাসার সকল ধরণের পরীক্ষা বন্ধ। গত বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়া হয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এখনো হয়নি। পরীক্ষা হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে এবারও অটো পাসের অপেক্ষায়।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের কোন চাপ নেই’ তার এ বক্তব্যে প্রমাণ করে দেশের সাধারণ মানুষের সাথে মন্ত্রীদের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতেই সরকার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রিন্সিপাল মাদানী একই দাবিতে ৩ জুন সারাদেশে মানববন্ধন এবং পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ৫ জুন ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে সবধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান ও মুহা. ফজলুল হক মৃধা।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসে ভিনদেশি চক্রান্ত কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি অবিলম্বে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, দেশের প্রায় ৪ কোটি ছাত্র-ছাত্রী নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া থেকে শুধু বঞ্চিত হচ্ছে তাই নয়, অনেকের শিক্ষাজীবনই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। মাদকাসক্ত হয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী। অনলাইনে পড়াশুনার অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বিপুল অংশ অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন গেমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার বারবার বলছে, “আগে জীবন রক্ষা, তারপর শিক্ষা”। টিকার দেয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। সরকার টিকার নিয়ে বাণিজ্য করছে। ইন্ডিয়া থেকে টিকা এনে কত টাকা বাণিজ্য করছে তার হিসেব জনগণের কাছে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।