Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা সংকটে কর্মসংস্থান সীমিত হবার মধ্যে নিত্য-পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব কষ্টে আছেন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১:৫১ পিএম

করোনা মহামারি সংকটে কর্মসংস্থান অভাবের সাথে নিত্য-পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষ খুব কষ্টে আছেন। টিসিবি’র পণ্য বিক্রী বন্ধ হবার পর থেকে পেয়াঁজ, ভোজ্যতেল এবং ডাল সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বৃদ্ধির প্রবনতাও অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ৬ মে থেকে ১০ দিনের জন্য বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের অপর ৫টি জেলা সদর ও উপজেলা সদরে শুধুমাত্র চিনি, ভোজ্য তেল ও মুসুর ডাল বিক্রী কর্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় এ বানিজ্য সংস্থাটি।

ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের খোলাবাজারে দেশীয় পেয়াঁজের কেজি ৬০ টাকা অতিক্রম করেছে। আমদানীকৃত পেয়াঁজও ৫৫ টাকা কেজি। মুসুর ডাল ১শ টাকা কেজি। মুগ ডালের কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা। খেশারি ডালও ৮০-৮২ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল লিটারে আরো ৫টাকা বেড়ে এখন ১৪৫-১৪৭ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। রোজা ও ঈদু ইল ফিতরে পরে চিনির দাম কমার আশা করা হলেও তার কোন লক্ষন নেই। এখনো দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে চিনির কেজি ৭৫ টাকা।

চালের বাজারে আরো ৬ মাস আগে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল তা প্রশমিত হওয়া দুরের কথা অব্যাহত রয়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখনো নি¤œ-মধ্যম মানের ‘বি-আর ২৮’ বা ‘২৮Ñবালাম’ চালের কেজি ৪৫ টাকা। আর মধ্যমÑভাল মানের মিনিকেট চালের কেজি প্রায় ৬০ টাকা। ভাদ্রমাসের অমাবশ্যার প্রভাবে প্রবল বর্ষণের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় প্রায় দেড় লাখটন উৎপাদন হ্রস পায়। তবে সারা দেশে আমনের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশী হলেও দূর্যোগের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজীতে চালে দাম বেড়ে যায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এরপরে বোরো ধানের ভাল ফলন হলেও চালের দাম আগের পর্যায়ে হ্রাস পয়নি। বরং তা ক্রমাগত উর্ধমুখি।

অপরদিকে রোজার আগে থেকে গত ৯ মে পর্যন্ত সারাদেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও এবার টিসিবি পেয়াঁজ, চিনি, ভোজ্যতেল এবং মুসুর ডাল ছাড়াও সিমিত সময়ের জন্য ছোলাবুট ও খেজুর বিক্রী করে। এমনকি টিসিবি ৩৫টাকা দরে পেয়াজ বিক্রী শুরু করলেও ক্রেতার অভাবে এক পর্যায়ে তা ১২ টাকায় হ্রাস করলেও পর ২০ টাকা দরে সব পেয়াঁজ বিক্রী শেষ করার পরেই বাজারে বিরূপ পরিস্থিতি ফিরে আসে। সাথে করোনা সংকটে ভারত থেকে আমদানী হ্রাস পবার ফলেও পেয়াজের বাজারে বিরূপ পড়ছে।
তবে ৬ জুন থেকে টিসিবি দক্ষিণাঞ্চলে যে মাত্র ৩টি পণ্য নিয়ে বাজারে ফিরছে, তাও খুবই সিমিত আকারে। বরিশাল মহানগরীতে আগের ৮টি ট্রাকের স্থলে এবার মাত্র ৫টি এবং জেলা পর্যায়ে ১টি ট্রাকে শুধুমাত্র সিমিত কিছু চিনি, মুসুরডাল ভোজ্য তেল বিক্রী করবে সংস্থাটি। এর বাইরে উপজেলা সদরগুলোতে পর্যায়ক্রমে এসব পণ্য বিক্রী হবে বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে।

তবে টিসিবি’র অতি সিমিত এ পন্য বিক্রী বজারে খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না বাজার পর্যবেক্ষকগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ