পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর চারটি টিকা কেন্দ্রে দেয়া হবে ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ টিকা। ম্যাসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) ভিত্তিক এই টিকা তাপ ও আলোর প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই কোন ভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না। দুই ডোজের এই টিকার প্রতি ডোজে শুণ্য দশমিক ৩ এমএল সমপরিমান, যা ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা হবে। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত জনগোষ্টিকে এই টিকা দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
টিকার প্রতি ডোজের পরিমান শুণ্য দশমিক ৩ এমএল। দুটি ডোজ, প্রথম ডোজের ২৮ দিনের ব্যবধানে ২য় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন অর্থাৎ বাহুর উপরের গোশতপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। সঠিকভাবে টিকা দিতে শুণ্য দশমিক ৩ এমএল এডি সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে এক ভায়ালের সাথে ডাইলুয়েট মিশ্রনের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে। সংমিশ্রনের জন্য দুই এমএল এর সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেক এর টিকা গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদানকানী মায়েদের দেয়া যাবে না। এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস (অ্যানাফাউল্যাক্সিস) থাকলে সেসব ব্যক্তিদের টিকা দেয়া যাবে না। প্রথম ডোজ দেয়ার পরে যদি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না। কোন ব্যক্তির শরীরে জ্বর থাকলে (৩৮.৫) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি টিকা দেয়া যাবে না।
ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার আগে দেখতে হবে, প্রথম ডোজ দেয়ার পর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা। বিশেষ করে- ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, ইনজেকশনের স্থান ফুলে যাওয়া, ক্লান্ত, মাথাব্যাথা, পেশরি ব্যাথা, সর্দি, আর্থালজিয়া, জ্বর, বমি বমি ভাব ইত্যাদি। তাছাড়া টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৪ দিনের বিরতি থাকতে হবে।
ফাইজারের টিকা উৎপাদন পর্যায়ে হিমাঙ্কের নীচে ৯০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ হয়ে থাকে। বিমানবন্দরে একই তাপমাত্রায় এটি সংরক্ষণ ও পরিবহণ করা হয়। ঢাকায় আসার পর কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারে হিমাঙ্কের নীচে ৮০ থেকে ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে। তবে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন-গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজার বায়োএনটেক উৎপাদিত ১ লাখ ৬০২ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপলয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান। প্রাপ্ত টিকা বিমানবন্দর থেকে মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর হিমাগারে রাখা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজার বায়োএনটেক টিকা কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করে। এই টিকা বর্তমানে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি, যুক্তরাষ্ট্রে ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনেস্ট্রেশন, হেলথ কানাডাসহ আরো অনেক দেশেই অনুমোদ পেয়েছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।