রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বৃষ্টির নতুন পানির আগমনে খাল-বিল, নদ-নদীতে দেখা
মেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশিও মাছ। আর এসব মাছ ধরতে এ এলাকার মৎস্যজীবীরা ব্যবহার করে চাঁই বা দুয়াইর। এ মাছ ধরা চাঁই যন্ত্রে বেশির ভাগ চিংড়ি মাছ আটকা পড়ে।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরে জমে উঠেছে এ মাছ ধরা যন্ত্র চাঁইয়ের পাইকারী বাজার। প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার এই ২দিন এ বন্দরে হাজার হাজার মাছ ধরার চাঁই খুচরা ও পাইকারী ক্রয়-বিক্রয় হয়। পাইকাররা এ বাজার থেকে চাঁই ক্রয় করে বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে নিয়ে বিক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। তাছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক শত পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই চাঁই শিল্পের সাথে জড়িত থেকে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।
বর্ষা মৌসুমের শুরু হবার পূর্বেই প্রায় ৬ মাস তারা এ মাছ ধরা যন্ত্র চাঁই তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকেন। তল্লা ও কালী জিরা বাঁশ দিয়ে এ যন্ত্র তৈরি করা হয়। একটি বাঁশ দিয়ে ১০ থেকে ১২টি চাঁই তৈরি করা যায়। তবে একজন কারিগর একদিনে ৬ থেকে ৭টি চাঁই তৈরি করতে পারে। বাজারে ১ কুড়ি চাই অর্থাৎ (২০টি) ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। চাঁই তৈরির কারিগর অজয় কুমার, স্বপন সিকদার, রামকৃষ্ণ মন্ডলসহ আরো অনেকে জানান, তাদের পরিবারের সবাই মিলে বর্ষা মৌসুম শুরু হবার পূর্ব থেকেই প্রায় ৬ মাস চাই তৈরির কাজ করেন। বাঁশ কেনা থেকে শুরু করে সর্ম্পূন চাই তৈরি করতে যে কষ্ট আর খরচ হয় সে তুলনায় লাভ বেশি হয় না। তবে এ শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
দিন দিন খাল-বিল নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছ শিকারীর সংখ্যা ও কমে গেছে। যার কারণে চাঁইয়ের চাহিদা ও কমে যাচ্ছে। বর্তমান বাঁশ এবং সুতার মূল্য যে তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সে তুলনায় চাঁইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সরকার স্বল্প সুদে ঋন দিলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।