পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও বস্ত্র বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হলে সেই পতাকা নামিয়ে ফেলে পুলিশ। এতিমদের জন্য রান্না করা খাবারও তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মসজিদেও দোয়া মাহফিল করতে দেয়নি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও বস্ত্র বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ ব্যাপক কর্মসূচি চলমান রয়েছে। নানা স্থানে পুলিশী প্রচন্ড বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোববার শাহদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নড়াইল, কুষ্টিয়াসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশ ও প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে বাধা প্রদান ও তা নিয়ন্ত্রণ করে। কুষ্টিয়ায় কর্মসূচি পালনে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, এমনকি দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হলে সেই পতাকাও নামিয়ে ফেলে পুলিশ। নড়াইল জেলায় এতিমদের জন্য রান্না করা খাবারও তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, মসজিদেও দোয়া করতে দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিট কার্যালয়গুলোতে আগে থেকেই তালাবদ্ধ এবং সেখানে উপস্থিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করে। শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতেও মাজারের প্রবেশমুখে পুলিশ বিনা কারণে নেতাকর্মীদেরকে ভেতরে ঢুকতে বাধা প্রদান করে।
এধরণের গর্হিত কাজের জন্য ধিক্কার জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাস করে না। এদের ঐতিহ্যই হচ্ছে-ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দল দমনে সবসময় হিংস্র আচরণ করে। আওয়ামী লীগ বরাবরই ভিন্নমত, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী। এরা ক্ষমতা হাতে পেলেই বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি দূরের কথা, বিরোধী নেতাকর্মীদের সামাজিক যেকোন আচার অনুষ্ঠান কিংবা দোয়া ও মিলাদের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও প্রশাসনকে দিয়ে বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়ে তা পন্ড করে দেয়। প্রিন্স বিএনপি’র পক্ষ থেকে দেশব্যাপী শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক হামলা ও অনুষ্ঠান বানচালের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তথা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই এধরণের অমানবিক ও ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড চালিয়ে শহীদ জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমান এমন একজন জনপ্রিয় নেতা ও দেশের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যে তাঁকে শত ষড়যন্ত্র করেও মানুষের হৃদয় থেকে কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।