রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক সময় পাট চাষ হতো ব্যাপক। কিন্তু পাট পচনোর জন্য ডোবা ও খাল বিলে সময়মতো পানি না থাকায় ও পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন এ উপজেলার কৃষকরা। তবে কৃষি অফিসের কাগজ কলমে পাট চাষের হিসাব থাকলেও বাস্তবে তেমন চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের এই প্রধান অর্থকরী ফসল সোনালী আঁশ এখন বিলুপ্তির পথে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাট চাষে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২০ হেক্টর জমি। সে জায়গায় দেশি জাতের ৪০ হেক্টর ও তোষা জাতের ৩৪ হেক্টরসহ মোট চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে অর্থাৎ এ বছর পাট চাষে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি এবং গত বছরের তুলনায় এবার ২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কম হয়েছে। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ কোন ইউনিয়নে কত হেক্টর হয়েছে সে তথ্য উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে নেই।
ইউসুফপুর এলাকার কৃষক সুলতান আহমেদ বলেন, পাট চাষে অনেক শ্রম দিতে হয়। উৎপাদন খরচও বেশি। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে বীজ বপণ থেকে শুরু করে পাটের আঁশ ছড়িয়ে শুকানো পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয় এবং পাট পচাতে জমির আশপাশে ডোবা না থাকায় ভোগান্তি পেতে হয়। এই হিসাবে এক মণ পাটের দাম ২ হাজার টাকার বেশি হওয়া দরকার। কিন্তু গত বছর পাটের দাম ছিল ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা পর্যন্ত। তাই এবার পাট চাষ করিনি। একই গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, পাট চাষের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাট চাষে তেমন আগ্রহ নেই। তার পরেও আমরা চাষি মানুষ। এ বছর ২০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি। দাম ভালো পেলে আগামী বছর আরও বেশি পাটের আবাদ করব। আর লোকসান হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ হারানোর পেছনে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া অন্যতম কারণ। এছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে- যেমন এই উপজেলার কৃষি জমিগুলো উঁচু হওয়ায় পানির অভাবে পাটের আঁশ ছড়াতে কৃষকের ভোগান্তি পেতে হয়। তা ছাড়া পাট জাগ দেয়ার জায়গার ভীষণ সঙ্কট। ফলে নিচু জমিগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় অনেক কৃষক বীজ বপণ করতে পারেননি। কৃষকরা ধান চাষে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় পাট চাষ শুধু সবজি চাষ হিসেবে করা হয়। এসব কারণেই কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।