Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এনআইডি সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১১:৫৯ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা উচিত। এটি সরকারের অন্য দফতওে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ক্ষুন্ন হতে পারে বলেও সিইসি শঙ্কা প্রকাশ করেন। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, কমিশনের সঙ্গে সরকার এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি। সরকারের এই বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে কমিশন বা কমিশন সচিবালয়ের সচিবের সাথে আগে কখনো আলোচনা করা হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের থেকে কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে মাত্র। এটি একটি জটিল কাজ। চিঠি দিলেই এটি হয়ে যাবে তা সম্ভব নয়। এর সাথে অবকাঠামো, জনবলসহ অনেক কিছুই জড়িত রয়েছে।

এনআইডি নির্বাচন কমিশনের একটি প্রোডাক্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা উচিত। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরি করার ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছে। ভোটার তালিকার বাই-প্রডাক্ট হিসেবে এনআইডি হয়েছে। অন্য কোনো বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট এনআইডি করেনি। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করেছিল। সেটি করতে গিয়ে বাই-প্রডাক্ট হিসেবে এটি এসেছে। কাজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আমাদের আলাদা কোনো এফোর্ড দিতে হয়নি। কেবল একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ডাটাবেজের মাধ্যমেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের যুক্তি হচ্ছে, কমিশনের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের মাধ্যমেই সবাই সার্ভিস পাচ্ছে। তারপরও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তা-ভাবনা কী আছে.. মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা সরকারের অন্যান্য পর্যায়ে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করা হবে। এনআইডি সরকারের অন্য দফতওে গেলে আইনগত জটিলতা হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আইনগত কোনো জটিলতা হলে সরকার আইন প্রণয়ন করে তার সমাধান করতে পারবে। বর্তমান আইনি জটিলতা থাকলে তা রিমুভ করে নতুন আইন তৈরি করতে পারবে সরকার।

ভোটার তালিকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র আলাদা হলে তা সাংঘর্ষিক হতে পারে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান সিইসি। তিনি বলেন, যেখানে ভোটার তালিকা তৈরি করব আমরা। আর এনআইডি থাকবে অন্য বিভাগ বা মন্ত্রণালযর হাতে। এটা হলে নির্বাচন কমিশন সরকারের অন্য কোনো দফতরের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে চলে যায়। এটা সংবিধান গ্রহণ করে না। কারণ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আলাদা থাকবে অন্য কোনো দফতরের অধীনে তারা থাকবে না।

আপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে এনআইডি সেবা সরকার অন্য দফতরে নিচ্ছে বিষয়টি তা নয়। সরকারের যুক্তি দেশের জন্ম-মৃত্যুর তথ্যভান্ডর নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকে না। ভাবনা-চিন্তা কওে যেটা ভালো হবে সেটাই সরকার করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এনআইডি অন্য বিভাগের কাছে গেলে জটিল হবে। সরকার যখন চিঠি দিযয়েছে তখন নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে তারা একই সাথে আলোচনা করবে বলেও মনে করেন সিইসি। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযয়ের অধীনে যাওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ