বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খৃষ্টানদের ঘর ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ করেছে হিন্দুরা। তাদের মন্দির নির্মাণ করা সঠিক হয়েছে বলে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন অপর খৃষ্টান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুধা রঞ্জন রায়।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ রবিবার সকালে উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের পস্চিম শুয়াগ্রামে। এ ঘটনায় শেখর বিশ্বাস বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে গেলে হিন্দুদের পক্ষে সমর্থন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুধা রঞ্জন রায় সাংবাদিকদের বলেন হিন্দুরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখল করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ গতকাল শনিবার রাতে খৃষ্টান এবং হিন্দুদের জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে এলাকায় এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু সেখানে হিন্দুরা উপস্থিত হলেও খৃষ্টানরা উপস্থিত হয়নি,তিনি আরো বলেন যে জায়গায় হিন্দুরা মন্দির স্থাপন করেছেন,সে জায়গা তাদের নামে অর্থাৎ কৃষ্ণ কান্ত বৈদ্যের নামে বিআর এস ২৮৯০ নং দাগে ৩ শতাংশ রেকর্ড রয়েছে। তা ছাড়া এই জায়গা আমি ছোটকাল থেকে কৃষ্ণ কান্ত বৈদ্যকে ভোগ দখল করতে দেখে এসেছি।
এদিকে হিন্দুদের পক্ষ অবলম্বন করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধা রঞ্জন রায়ের কড়া সমালোচনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশির বিশ্বাস বলেন আমাদের জায়গায় একটি মুরগির ঘর ছিল,সেই ঘরটি আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ভেঙ্গে ফেলে হিন্দুধর্মের কৃষ্ণ কান্ত বৈদ্য,দেবদাশ বৈদ্য,দেবাশীষ বৈদ্য,অনিমা বৈদ্যসহ প্রায় অর্ধশত লোক।এর পর সেখানে একটি মন্দির ঘর উত্তোলন করে একটি সরস্বতী মূর্তি স্থাপন করে,এই জায়গা আমার এবং আমার ভাই শেখর বিশ্বাসের নামে বিআর এস ২৮৯০ নং দাগে ৪ শতাংশ জমি রেকর্ড রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই মোঃ করিম মোল্লা বলেন শেখর বিশ্বাসের মুরগির একটি ঘর ভেঙ্গে মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। উভয় পক্ষই জায়গার দাবি করেছেন। এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে।তবে বিরোধীয় জায়গার কাগজপত্র দেখার সুযোগ হয়নি। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান খৃষ্টানদের মুরগির ঘর ভেঙ্গে হিন্দুদের একটি মন্দির স্থাপন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে,বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে,এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।