পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ মে বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি শোকাবহ দিন। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রাক্তন সেনাপ্রধান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সেক্টর কমান্ডারের শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর অসাধারণ দেশপ্রেম, অসম সাহসীকতা, সততা-নিষ্ঠা ও কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেশের জন্য অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। অনেক আবেগঘন স্টাট্যাসের মাধ্যমে জানাচ্ছেন গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। করছেন পরকালীন আত্মার মাগফিরাত কামনা।
স্মৃতিচারণ করে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘এইতো সেদিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুদি দোকানে গেলাম সদাইপাতি আনতে। গিয়ে বিবিসিতে শুনলাম প্রেসিডেন্ট জিয়াকে চিটাগং সার্কিট হাউজে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। হাত পা অবশ হয়ে এলো। আমার বয়স তখন নয়। তিনবার মানুষটাকে সামনাসামনি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। দু’বার কুমিল্লা গুলবাগিচা স্কুলের কাব হিসেবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে রিসিভ করেছিলাম। আরেকবার ঢাকা শিশু একাডেমিতে নাটক প্রতিযোগীতায় তিনি দেখা করতে এসেছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে, সেখানে আমিও ছিলাম। আমার ছোট্ট মনে গভীর দাগ কেটে গেল শহীদ জিয়ার মৃত্যু। জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকেই উনার নেতৃত্বের অনুগত সৈনিক হিসেবে নিজেক উৎস্বর্গ করেছি। ক্ষণজন্মা নেতা হিসেবে মাত্র তিন বছরের শাসনামলে তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন অসাধারন কর্মযঁজ্ঞের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আপামর জনসাধারণের মাঝে। এক অদ্ভূত জাগরণের দাবানলে তলাবিহীন ঝুঁড়ির গ্লানি থেকে দেশের সম্মান নিয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক দরবারে। ইরাক ইরান ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্ততাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তিনি পৌঁছে গেলেন বিশ্বনেতার কাতারে। দেশকে স্বনির্ভর করার প্রাণান্ত চেষ্টা করে গেছেন আমাদের রাখালরাজা। সাধারণ মানুষের আবেগের কেন্দ্রিবন্দুতে নিজের জায়গা করে নিলেন শহীদ জিয়া। দেশের প্রায় সবধরনের জাতীয় পুরষ্কারের প্রবর্তক তিনি। রাষ্ট্রে প্রতিটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ফিরে পেয়েছিল কর্মমুখর প্রাণচাঞ্চল্য। শহীদ জিয়া হয়ে উঠলেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা। ঠিক চল্লিশ বছর আগের এই দিনে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ...................... আজ আমার নেতার মহাপ্রয়ান দিবস। আজ আমার মন ভারাক্রান্ত। আজ আমি কাঁদবোনা, আজ আমার চোখের প্রতিটি অশ্রুবিন্দু রক্তবিন্দুতে রুপান্তরিত হোক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ রক্ষার শপথে। রাখালরাজার দেশপ্রেম বুকে ধারণ করেই কাটিয়ে দিয়ে চাই একটা জীবন। আপনাকে সশ্রদ্ধ স্যালুট হে মহান নেতা। আপনার সমর্থক হিসেবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি, গর্ব করে বলতে পারি আমাদের একজন জিয়া ছিলেন। কোটি মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা পাঠিয়ে দিলাম আকাশের ঠিকানায়। যে জিয়া জনতার, সেই জিয়া মরে নাই। প্রয়াত সকল জাতীয় নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। শহীদ জিয়া অমর হউন, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ভালবাসা অবিরাম...’
হাশেম খান লিখেন, ‘শহীদ জিয়া মানে রক্ত ঋণে অর্জিত স্বাধীনতা, শহীদ জিয়া মানে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ব্যাকুলতা, তুমি আছো তুমি থাকবে কোটি প্রাণের স্বাধীনতায়। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম) এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।’
ছবি শেয়ার করে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান লিখেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই রণাঙ্গনের এই বীর সেনানীকে, অকুতোভয় সৈনিককে, যার জন্মই আমাদের স্বাধীনতা।’
রাশেদ আদনান লিখেন, ‘তোমার কর্মেই তুমি মহান হে কোটি কোটি বাঙালীর রাখাল রাজা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!’
আরএই প্রিন্স লিখেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গ্রাম বিনির্মাণের অন্যতম রূপকার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-অখণ্ডতার প্রতীক, বাংলাদেশের ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী জনগণের নয়নমনি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’
টুইটারে ইভান ইবনে কবির লিখেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। হে আল্লাহ লক্ষ মানুষের প্রিয় নেতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে টুইটারে রভিন খান লিখেন, ‘তুমি আছো তুমি থাকবে, কোটি প্রাণের স্বাধীনতায়!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।